কীর্তনের গান সমগ্র (Pijush Nag)
▓▓▓▓ PIJUSH NAG ▓▓▓▓
▓▓▓▓ 01811181318 ▓▓▓▓
০১.
_________নাম পূর্ণঃ __________
হরি হরয়ে নমঃ কৃষ্ণ যাদ ভাই নমঃ
যাদ ভাই মাধ ভাই কেশ ভাই নমঃ।।
গোপাল গোবিন্দ রাম শ্রী মধুসুদন
গিরীধারী গোপীনাথ মদন মােহন ৷।
শ্ৰী চৈতন্য নিত্যানন্দ শ্রী অদ্বৈত সীতা
হরি গুরু বৈষ্ণব আর ভাগবত গীতা।।
শ্রী রূপ সনাতন ভট্ট রঘুনাথ
শ্রী জীব গোপাল ভট্ট দাস রঘুনাথ।।
এই ছয় গৌসাইর করি চরণ বন্ধন
যাহা হতে বিঘ্ন নাশ অভীষ্ট পুরণ।।
এই ছয় গৌসাই যার মুই তার দাস
তা সবার পদ রেনু মোর পঞ্চ গ্রাস।।
তাঁদের চরণ সেবি ভক্ত সনে বাস
জীবনে মরণে হয় এই অভিলাষ।।
এই ছয় গৌসাই যবে ব্রজে কৈলা বাস
রাধা কৃষ্ণ নিত্য লীলা করিলা প্রকাশ।।
আনন্দে বল হরি ভজ বৃন্দাবন
শ্রীগুরু বৈষ্ণব পদে মজাইয়া মন।।
শ্রীগুরু বৈষ্ণব পাদ পদ্মে করি আশ
নাম সংকীর্তন করে নরোত্তম দাস।।
জয় রাধে রাধে গোবিন্দ জয় জয়
জয় রাধে রাধে গোবিন্দ জয় জয়।।
হরি বল, হরি বল, হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
(Composed by: Pijush Nag)
হরি বল, হরি বল, হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
০১. ক
শ্রীগুরু-বৈষ্ণব মাহাত্ম্য-গীতি
________________________________
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻
🌻🌻🌻🌻🌻🌻
🌻🌻🌻
🌻🌻🌻🌻🌻🌻
🌻🌻🌻
০২.
..............................................................................
..............................................................................
নামের সুরঃ
জয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
শ্রী অদ্বৈত গদাধর শিবা সাদে গৌর ভক্তবৃন্দ।।
..............................................................................
..............................................................................
ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গের নাম হে |||
ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গের নাম হে |||
যেজন গৌরাঙ্গ ভজে , সেহয় আমার প্রাণ রে |||
ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গের নাম হে |||
ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গের নাম হে |||
..............................................................................
..............................................................................
..............................................................................
________________________________
________________________________
০৩.
তুলসী বৃন্দাজীঃ
নমো নমো তুলসী শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী
(নমোঃ নমোঃ)।।
নমোঃ রে নমোঃ রে কৃষ্ণ নমোঃ নারায়নী।
(নমোঃ নমোঃ)।।
নমোঃ রে নমোঃ রে কৃষ্ণ নমোঃ নারায়নী।
জয় জয় রাধাকৃষ্ণের চরণ পাব এই অভিলাষী
যে তোমার স্মরণ লয়,তার বাঞ্চা পূর্ণ হয়।
তুমি কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী।।
এই মনের অভিলাষ,বিলাশ কুঞ্জে দিও বাস
নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপ রাশি।।
এই নিবেদন ধর,সখীর অনুগত কর।
সেবা অধিকার দিয়ে কর নীজ দাসী।
তুমি বৃন্দে নাম ধর,অঘটন ঘটাতে পার
কৃপা করি সিদ্ধমন্ত্র দিলা পৌর্ণমাসী।।
দীনকৃষ্ণ দাসে কয়,এই যেন মোর হয়।
শ্রীরাধা গোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাঁসি।।
(Composed by: Pijush Nag)
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
০৩.ক
________________________________
তুলসী বৃন্দাজীঃ
তুলসী কৃষ্ণ প্রেয়সী বৃন্দাজী মহারাণী
(নমোঃ নমোঃ)।।
নমোঃ রে নমোঃ রে নমোঃ নমোঃ নারায়নী।
"মাতা ব্রহ্ম সনাতনী।।"
(নমোঃ নমোঃ)।।
নমোঃ রে নমোঃ রে নমোঃ নমোঃ নারায়নী।
"মাতা ব্রহ্ম সনাতনী।।"
জয় জয় রাধাকৃষ্ণের চরণ পাব এই অভিলাষী
যে তোমার স্মরণ লয়,তার বাঞ্চা পূর্ণ হয়।
তুমি কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবনবাসী।।
এই মনের অভিলাষ,বিলাশ কুঞ্জে দিও বাস
নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপ রাশি।।
এই নিবেদন ধর,সখীর অনুগত কর।
সেবা অধিকার দিয়ে কর নীজ দাসী।
সত্যতে মা সত্যবতী, ত্রেতাতে মা লক্ষী।
দ্বাপরেতে বৃন্দাজী মাগো কলিতে তুলসী।।
দ্বাপরেতে বৃন্দাজী মাগো কলিতে তুলসী।।
দীনকৃষ্ণ দাসে কয়,এই যেন মোর হয়।
শ্রীরাধা গোবিন্দ প্রেমে সদা যেন ভাঁসি।।
আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল
আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল
আর কতকাল কান্দাবিরে;
গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল
ও দয়াল গেলো না আমার
দুঃখেরই কপাল।
আশা কইরা ঘর বানাইলাম
বসত করবো বলে দয়াল
আশা কইরা ঘর বানাইলাম
বসত করবো বলে;
চাল ছাইতে পারলাম না আমি।।
উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল
দয়াল উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল
গেলো না আমার
দুঃখের এই কপাল।
আশা কইরা গাছ লাগাইলাম
ফল পাবো বলে দয়াল
আশা কইরা গাছ লাগাইলাম
ফল পাবো বলে;
জল দিতে পারলাম না আমি।।
শুকাইয়া গেলো গাছেরই ডাল
দয়াল শুকাইয়া গেলো
গাছেরই ডাল।
গেলো না আমার
দুঃখের এই কপাল
ও দয়াল গেলো না আমার
দুঃখের এই কপাল।
হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম
জমি দিলাম চষে দয়াল
হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম
জমি দিলাম চষে;
পরের জমি চষতে চষতে।।
নিজের জমি হয় বেহাল
দয়াল নিজের জমি হয় বেহাল।
গেলো না আমার
দুঃখের এই কপাল
ও দয়াল গেলো না আমার
দুঃখের এই কপাল।
আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল
আর কতকাল কান্দাবিরে;
গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল
ও দয়াল গেলো না আমার,
দুঃখেরই কপাল।।
(শিল্পী-পরীক্ষিত বালা)
🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
🌷🌷🌷🌷🌷
🌷🌷🌷
________________________________
০৪.
কৃষ্ণের প্রণাম মন্ত্রঃ
বসুদেবং সুতং দেবং কংসং চানুর মর্দ্দনং।
দেবকী পরমানন্দং কৃষ্ণং বন্দে জগদ্-গুরো।।
কৃষ্ণায় বাসুদেবায় দেবকী নন্দনায় চ।
প্রণত ক্লেশনাশায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
হা কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু দ্বীনবন্ধু জগৎপতে।
গোপেশ গোপীকাকান্ত রাধাকান্ত নমোহস্তুতেঃ।।
🌺🌺🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺
________________________________
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্ ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
________________________________
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺🌺🌺🌺🌺
🌺🌺🌺
________________________________
________________________________
০৫.
গীতে মাধব হৃদয়ঃ
গীতে মাধব হৃদয় ভক্তের প্রাণ।
বক্ষে রাখি বারে বারে করি হে প্রণাম।।
প্রজ্জ্বলিত থাক তুমি মানবের অন্তের।
ভুলিনা তোমারে যেন জীবনের তরে।।
অষ্টাদশ অধ্যায় তোমার জগতে প্রচার।
নমি বারে বারে মাগো নমি বারে বার।।
সংসার ও পাবনী তুমি জ্ঞানের ভান্ডার।
যেই ভজে সেই মজে নামেতে তোমার।।
তোমার ও অমৃত বানী যে না করে পান।
মানব হইয়া থাকে পশুর সমান।।
ভাই বল বন্ধু বল কেউ কারো নয়।
আপনি মরিয়া গেলে তার কেন রয়।।
ভাই বল বন্ধু বল কেউ কারো নয়।
ভাই বল বন্ধু বল কেউ কারো নয়।
দুই চার দিনের মেলামেশা পথের পরিচয়।।
তোমার অমৃত সুধা যেবা করে পান।
মানব হইয়া থাকে সে দেবতার সমান।।
গীতা বড় মধুময়, সর্বধর্ম সমান নয়।
ঘরে ঘরে পুজা হয়, ভব পাড়ের বন্ধু হয়।।
শ্রীকৃষ্ণের বাণী হয়, অনাদির আদি হয়।।
একবার জয় দাও, জয় দাও।।
জয় জয় গীতা প্রীতে জয় দাও, জয় দাও।।
মা জননী সবাই মিলে উলুধ্বনি দাও।।
ভক্তবৃন্দ সবাই মিলে জয়ের ধ্বনি দাও।।
জয় গীতা, জয় গীতা, জয় গীতা।।
(Composed by: Pijush Nag)
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৩)
(রাধে)গোবিন্দ গোবিন্দ
গোবিন্দ গোবিন্দ(২)
গোবিন্দ ব’লে সদা ডাকরে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৬)
নন্দের কানাইয়া বসে বাঁশরী বাজায়।।
বাসরী বাজায় কৃষ্ণ বাসরী বাজায়।
বাসরী বাজায় প্রভু বাসরী বাজায়।
নন্দের কানাইয়া বসে বাসরী বাজায়।।
মা যশোদার আনন্দেতে নাচে গোপিনী
কারাগারে দৈবকীর কাটে রজনী।।
কংস রাজা মথুরাতে ক্রোধে মরে যায়।।
ননী চোরা গোপাল আমার হাসিয়া বেড়ায়।।
শ্রীরাধিকা সখী সনে জল আনিতে যায়।।
অষ্টাজনার সখা কৃষ্ণ ভাবিয়া না পায়।।
এই যে প্রভুর নীলাতত্ব কয়জন বুঝে হায়।।
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে।
যুগে যুগে আসেন প্রভু ধরাধামে।।
দাপরেতে কৃষ্ণ নামে জয়ধ্বনি দাও।।
কলিতেও মহানাম জপে জপে যাও।।
(Composed by: Pijush Nag)
মধু মাখা হরি নাম..(2)
নদীয়া নগরে ....শচী মাতার ঘরে (2)
উদয় হইলো ... নিমাই চাঁদ .....
ঐ
হরি নাম ভজ ... নাম জপাে ...
নাম করো সার,
হরি নামে ভাসাও তরী ..... হয়ে যাবে পার..
হরি নামে মাতােয়ারা হরি নামে মাতােয়ারা
কে আনিলো রে?... মধু মাখা হরি নাম....
যত পাপী তাপী তরে গেল... এই হরি নামে
মুখে বলো হরি নাম ...... শ্রবন করো কানে
হরি নামে আছে সুধা ...ওওওওও ঐ
হরি নামে আছে সুধা .... অমৃত সমান ...
কে আনিলো রে?... কোথায় ছিল রে?
মধু মাখা হরি নাম... ঐ
বিজয় জীবন বলছে ....
হরি নাম ছাড়া গতি নাই
প্রেমানন্দে বাহু তোলে হরি বলো ভাই ....
হরি নামের জলে ডুব দিলে ....
ওওওওওও হরি নামের জলে ডুব দিলে ...
জুড়ায় মন প্রাণ।
কে আনিলো রে ?.... কোথায় ছিল রে ?....
মধু মাখা হরি নাম।
মধু মাখা হরি নাম।
মধু মাখা হরি নাম।
কোথায় ছিল রে?
(Composed by: Pijush Nag)
💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠
হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলরে বদনে।।
বেলা গেল সন্ধ্যা হল ঘরে ঘরে বাতি।
আজি গুরু মহারাজের মঙল আরতি।।
ধুপ দীপ পুষ্প হাতেতে লইয়া।
প্রভুর আরতি করে নাচিয়া নাচিয়া।।
শঙ্খ বাজে ঘন্টা বাজে বাজে করতাল।
মধুর মৃদঙ্গ বাজে শুনিতে রসাল।।
হরি হরি বল সবে আর সব মিছে।
পলাইতে পথ নাহি যম আছে পিছে।।
ব্রহ্মা আদি দেব যাবে ধ্যানে নাহি পায়।
সে হরি বঞ্চিত হলে কি হবে উপায়।।
শিব গুরু নারদ বেদ বিচারী।
পেল নারে নামের অন্ত অনন্ত মুরারী।।
যেই নাম সেই কৃষ্ণ ভজ নিষ্ঠা করি।
নামের সাথে আছেন আপনি শ্রীহরি।।
হরি নাম কৃষ্ণ নাম বড় মধুর।
যে জন কৃষ্ণ ভজে সে বড় চতুর।।
নাম ভজ নাম চিন্ত্য নাম কর সার।
নাম বিনে ভবার্ণবে গতি নাইরে আর।।
(Composed by: Pijush Nag)
প্রভু এসো এসো ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।।
বহু দিন গত হয়....কুরুক্ষেত্রে ধনঞ্জয়,
শুনেছিল তব মুখে গীতামৃত বানী,
কত পাপী-তাপী তরে গেল তত্ত্ব কথা শুনি।।
পালতে বর্ণাশ্রম ধর্ম,........বুঝাতে বেদ বিধির মর্ম
জাগাও আবার লুপ্ত ধর্ম........সুপ্ত হৃদি মাঝে,
আমি জন্মি যেন তোমার নামে মরি তোমার কাজে।।
দাও হে শ্রদ্ধা ,দাও হে ভক্তি, দাও হে সেবা অনুরক্তি,
ঢাল প্রাণে নব শক্তি গীতামৃত দিয়ে
আমার নীরস প্রাণ সরস কর তত্ত্ববানী গেয়ে।।
কুরুক্ষেত্রে ঐ জয়গান ...গাওহে আবার হে ভগবান,
কাতরে করি আহবান গোলক বিহারী,
আমার শূণ্য আসন পূর্ণ কর ওহে দয়াল হরি।
আমি চিরকাল পার্থনা করি দাও হে চরণতরী।।
আবার বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য সুদর্শন ধারী
প্রভু..এস এস ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।।
নিতাই গৌর হরিবোল,নিতাই গৌর হরিবোল,নিতাই গৌর হরিবোল।
জয় গীতা....জয় গীতা....জয় গীতা....
(Composed by: Pijush Nag)
রবি-নন্দন-বন্ধন-খণ্ডন হে,
শরণাগত কিঙ্কর ভীত মনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
হৃদি-কন্দর-তামস-ভাস্কর হে,
তুমি-বিষ্ণু-প্রজাপতি-শঙ্কর হে,
পরব্রহ্ম পরাৎপর বেদ ভণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
মন-বারণ-শাসন-অঙ্কুশ হে,
নরত্রাণ-তরে-হরি-চাক্ষুষ হে,
গুণগান-পরায়ণ দেবগণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
কুল-কুণ্ডলিনী-ঘুম-ভঞ্জক হে,
হৃদি-গ্রন্থি-বিদারণ-কারক হে,
মম মানস চঞ্চল রাত্রদিনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
রিপু-সূদন-মঙ্গল-নায়ক হে,
সুখ-শান্তি-বরাভয়-দায়ক হে,
ত্রয়তাপ হরে তব নাম গুণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
অভিমান-প্রভাব-বিমর্দ্দক হে,
গতিহীন-জনে-তুমি-রক্ষক হে,
চিত-শঙ্কিত-বঞ্চিত-ভক্তিধনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
তব নাম সদা শুভ-সাধক হে,
পতিতাধম-মানব-পাবক হে,
মহিমা তব গোচর শুদ্ধ মনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
জয় সদ্গুরু ঈশ্বর-প্রাপক হে,
ভব-রোগ-বিকার-বিনাশক হে,
মন যেন রহে তব শ্রীচরণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
(Composed by: Pijush Nag)
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
ও আমার এ সংসারে..................
হিংসা নিন্দা চাপাবাজি আমার গেল না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
আমার মন হইয়াছে কাম রুপি.........
কেমনে বুঝায়ে রাখি গো।
আমার কু-পথে মন রইয়া গেল সু-পথে মন গেল না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
আমার মন যদি বৈরাগ্য হইতো,
কৃষ্ণ নামটি সদাই লইতো গো।
এমন কৃষ্ণ নামে.....
পাষান গলে সই গো আমার মন তো গলে না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
(অর্জুন দত্ত কতৃক সংকলিত)
এসো নিতাই......।।
তোমার ভক্তবৃন্দ সঙ্গে নিয়ে এসো,
ঐ...................................................।।
এসো জুটো ভাই গৌর নিতাই,
দ্বীজ মনে দ্বীজ রাজহে।।
ভক্তগনের মাথার মনি,
দ্বীজ মনে,
সংকীর্তনের শীরমনি,
দ্বীজ মনে,.
........................ঝুমুর........................
পুজিব চরণ এই আকিঞ্চন,,
হরি রাখিব হৃদয় মাঝে,,,,,
পুজা করিব।।
ভক্তি চন্দন তুলসী দিয়ে পুজা করিব।
পুজা করিব।।
আমি নয়ন জলে অর্ঘ্য দিব,
পুজা করিব।।
কেশের চরণ মুছাইব,
পুজা করিব।
নয়ন জলে পা ধোয়াব,
পুজা করিব।
.........................ঝুমুর........................
হরি কি আছে আমার,
পুজার উপাচার কি দিয়ে পুজিব বল।।
আমার যা ছিল সম্বল নয়নের জল
তাও তো শুকায়ে গেল।।
ঐ....................................................।।
নয়ন বারি আমার শুকায়ে গেল।।
গুরু আমার উপায় বল।
নয়ন বারি আমার শুকায়ে গেল।।
যন্ত্র যদি পড়ে থাকে,,, লক্ষ জনার মাঝে
যন্ত্র কবি হনে যন্ত্র,,,কেমন করে বাজে।।
বাজেনা বাজেনা।।
যন্ত্র কবি হনে যন্ত্র,,, বাজেনা বাজেনা।
.........................ঝুমুর........................
আমি হইলাম কাষ্ঠের যন্ত্র তুমি যন্ত্রধারী,
হৃদয় মাঝে উদয় হলো ফুকারি ফুকারি।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও,
আমার দেহযন্ত্র পড়ে তরে,
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
আমার অশান্ত মন শান্ত হবে,
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
পাপী তাপী উদ্ধার হবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
ভাইয়ে ভাইয়ে মিলন হবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
ঘরে ঘরে নাম মিলাবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
হরি বল হরি বল হরি বল হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
(Composed by: Pijush Nag)
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
ভোমভোলা জয় জয় শংকরের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
আদিনাথ জয় জয় চন্দ্রনাথ জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
গীতা মার জয় জয় শ্রীকৃষ্ণের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
ভক্তের জয় জয় গুরুজির জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
শম্ভুনাথ জয় জয় বিশ্বনাথ জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
মঙলের জয় জয় শংকরের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
(Composed by: Pijush Nag)
ও অকুলে পড়িয়া গো ডাকি কর করুনা।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
ভক্তি শূণ্য আমি দুরাচার,
সেবা বাদী অপরাধী কি গতি হইবে আমার।।
ও পাপে ভরা, দেহ গো জ্বরা,কেহ ছোবেনা।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
দিবানিশি বিষয় ভাবনা,
অর্থ চিন্তায় মত্ত হয়ে, শ্রীগুরু তোমায় চিনলাম না।।
ও কিসে তরী, ভেবে গো স্বরি উপায় দেখিনা।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
গুরু তুমি দয়াল অবতার,
শ্রী চরণ তরী দিয়ে এই দাসকে কর ভবপার।।
ও বহুদিনের মনের আশা গো,পূর্ণ হলো না।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
( ডাঃ বিকাশ ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
গিয়েছিলাম ভবের বাজারে,
ছয় চোরাতে করল চুরি গুরু বাধলো আমারে।।
চোরায় চুরি করে খালাশ পাইলো গো
ও গুরু গো.....................।।
আমায় দিল জেলখানায়।।
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
শিশুকালে মইরা গেল মা,
গর্ভে রাইখা পিতা মরল গুরু চোখে দেখলাম না।
ওরে কে করিবে লালন পালন গো,
ও গুরু গো.....................।।
কে দিবে যে শান্তনা।
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
গুরু উপায় বলো না,
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
(Composed by: Pijush Nag)
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
একবার হরি বলো মন বারে বার
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
একবার হরি বলো মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।
মানব দেহ মাটির ভান্ড,
ভাঙ্গলে হবে লন্ড ভন্ড,
ভাঙ্গলে যে আর জোড়া লাগে না।।
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
একবার হরি বলো মন বারে বার,
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
বেলা ডুবলে হবে রাত্রি,
সঙ্গে নাই মোর সঙ্গের সাথি,
এই ভব নদী কেমনে হবো পার।।
একবার হরি বলো মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
টাকা পয়সা বিদ্যা বাড়ি,
জীবন গেলে রবে রে পড়ি,
সঙ্গের সাথি কেউ তো হবে না।।
একবার হরি বল মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।
একবার হরি বলো মন বারে বার,
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
(Noyan Bhowmik : 01632-205552)
🍁
🍁🍁🍁
🍁🍁🍁🍁🍁
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁
এসো এসো দয়াল হরি ।।(২)
আমি অণুকল্পের পূজা করি।।
এসো এসো দয়াল হরি।।
দয়াল আমার হৃদয় মাঝে,
বিচিত্র এক আসন আছে।।
আমি সে আসনে বসাবো বসাবো।
আমি নয়ন জলে পা ধোঁয়াবো
আমি কেশে চরণ মুছাইবো।।(২)ঐ
এসো এসো দয়াল হরি।।
তোমার ভক্তের ডাকে,বিনয় করে।(২)ঐ
দয়াল এসো হে আসরে
এসো হে আসরে।।★
ভক্তের বাঞ্চা পূর্ণ হবে,
এসো হে আসরে।।★
মনের বাঞ্চা পূর্ণ হবে---------★।।
আসিলে আনন্দ হবে---------★।।
নিরানন্দ দুরে যাবে ----------★।।
প্রেমানন্দের উদয় হবে -------★।।
জয় গীতা-জয় গীতা-জয় গীতা-জয় গীতা।।(২)
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
ওরে ধুলা নয়রে,
ধুলা নয়রে গোপি পদ রেনু।।
সেই ধুলা বাঞ্চা করে নন্দের বেটা কানু।।
অঙ্গে মাখো, মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি পড়ে গঙ্গার জলে,
গঙ্গা মুক্ত হয় ভাগবতে বলে।
অঙ্গে মাখো,মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি অঙ্গে মাখা যায়,
কোটি জনের পাপ ছাড়িয়া স্বর্গে চলে যায় !!!
অঙ্গে মাখো,মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি লাগে পাপীর গায়
সে পাপী নেচে নেচে বৈকুন্ঠেতে যায় !!!
অঙ্গে মাখো, মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা
ওরে সংকীর্তনের ধুলা নিয়ে যেবা পথে যায়
জলের কুমির বনের বাঘ ভয়েতে পালায়।।
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা রে ভাই যেবা করে হেলা..
সর্ব অঙ্গ নষ্ট হয় চক্ষু হয় তার কানা !!!
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে শ্রীধাম নাচে সুদাম নাচে নাচিতে লাগিলো
ওরে শ্রীধাম নাচে সুদাম নাচে নাচিতে লাগিলো
মা যশোদা নেচে নেচে কৃষ্ণ কোলে নিলো !!!
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
রাম কুন্ড রাধা কুন্ড গিরি গোবর্ধন।
মধুর মধুর বাদ্য বাজে এই তো বৃন্দাবন।।
......................(ঝুমুর).......................
হরি বল, হরি বল, হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
আর কতকাল থাকবি জীবন আশায় আশায় চাইয়া রে,
একদিন তোমায় যাইতে হবে ভবের বিনয় লইয়া জীবন রে,,"""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
,
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
কিসের মায়া কিসের আশা কিসের ভালোবাসা রে,
ঘর বাড়ি ছাড়িয়া হবে শ্মশানে তোর বাসা জীবন রে,,""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
,
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
কাঁচা বাঁশের খাট পালঙ্ক, শুকনো বেতের পাটি,
চারজনে চার কাঁধে করে বলবে হরি হরি জীবন রে""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
ভাই বলো বন্ধু বলো কেউ তো কারো নয় রে,
দুই সংসারের আসা যাওয়া পথের পরিচয় জীবন রে।""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।
বাঁশির সুরে মনের বনে ময়ূর নাচে রে।।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।
এখনো সে রাধারাণী বাঁশির সুরে পাগলীনি।
অষ্টসখী শিরমনি কদম তলায় রে।
এখনো সে বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
এখনো সেই ব্রজবালা বাঁশির সুরে হয় উতলা।
এখনো সেই ব্রজবালা জল আনিতে যায় ছলনা।
সেই ছলনায় কদম তলায় কৃষ্ণ আসে রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
এখনো সেই গাভী গুলি গো চারনে উড়ায় ধুলি।
সখার সনে কোলা কুলি কৃষ্ণ করে রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
আশা ছিল মনে মনে যাব মধুর বৃন্দাবনে।
ভব পাগলার সেই বাঁধনে পড়ে রইলাম রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
( ডাঃ বিকাশ ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
আমি মানুষও হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
মানুষের করিলাম কী...?
আমার বাল্য কাল গেলো, হাসিতে খেলিতে
যৌবন কাল গেলো রসে।।
আমার বাল্য কাল গেলো, হাসিতে খেলিতে
যৌবন কাল গেলো রসে।।
আমি সু-রস ফেলিয়া, কু-রস খাইলাম,
সু-রস ফেলিয়া, কু-রস খাইলাম.
কলসি করিলাম খালি....।
মন আমার মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমার এই কেশও পাকিবে, দন্ত নড়িবে,
সম্বল হবে মোরও লাঠি।।
তখন পুত্র পরিজন সকলে বলিবে,
পুত্র পরিজন সকলে বলিবে
এ জঞ্জাল মরিলে বাঁচি।
মন আমার মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি গুরু না ভজিলাম কি ভুলো করিলাম।
গুরু না ভজিলাম কি ভুলো করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।
মন্ত্র নগদ তলব তাকিত পত্র নেমে আসবে যবে।।
(মোহ ঘুমে) যেদিন আমার মুদিরে দুই চোখ।
পাড়া-পড়শী, প্রতিবেশী পাবে কিছু শোক।
সেদিন আমি যে এই পৃথিবীর লোক ভুলে যাবে সবে।।
(যতো বড়) হউকনা কেন রাজা-জমিদার
জুড়ি গাড়ি, পাকা বাড়ি, ট্রানজিস্টার।
ও তার থাকবে না আর কোন অধিকার, বিষয় ও বৈভবে।।
চন্দ্র-সূর্য্য, গ্রহ-তারা, আকাশ-বাতাস, জল
তারা যেমন আছে তেমনি ঠিক রইবে অবিকল।
সেদিন আমি থাকবোনা কেবল এই জনপূর্ণ ভবে।।
শব্দ-স্পর্শ, রূপ-রস, গন্ধ বন্ধ হলে যেন
এই পৃথিবীর অস্তিত্ত্ব বোধ থাকবেনা আর হেন।
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পড়ে কবে।।
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
তুমি আমার সুধার সিন্ধু আমি যে তৃষিত মরু
গুরু জীবনের ধ্রুব তারা।
আমি আঁধারে আঁধারে ঘুরিয়া ঘুরিয়া হয়ে যাই দিশেহারা।
তুমি যে জ্ঞানের প্রদীপ লইয়া ভয় নাই বলে পথ দেখাইয়া,
আগে আগে যাও ফিরে ফিরে চাও বুঝিয়া আমারে ভীরু।।
গুরু জীবনের পরম বন্ধু।
আমার শত অনাদর নাও সমাদরে অপার কৃপার সিন্ধু
দেখিতে আমার কত পাও, দোষ নাহি অভিমান নাহি কর রোষ
সদা হাসি মুখ প্রশান্তি সুমুখ হে মোর আশ্রয় তরু।
গুরু অন্তরে মম প্রাণ।
বাহিরেতে তুমি বিশ্বরুপ ধরি রহিয়াছে দৃশ্যমান।
নিরাকার তুমি দেহধারী হয়ে কর অভিনয় দেহী করে লয়ে।
নমি বিশ্ব প্রাণ কর পরিত্রাণ মোর কল্পতরু।
(Composed by: Pijush Nag)
রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ।।
জয় জয় শ্যামসুন্দর মদনমোহন বৃন্দাবন চন্দ্র।।
জয় জয় রাধারমণ রাসবিহারী শ্রীগোকুলানন্দ।।
জয় জয় রাধাকান্ত রাধাবিনোদ শ্রীরাধা গোবিন্দ।।
জয় জয় রাসেশ্বরী বিনোদিনী ভানুকুলচন্দ্র।।
জয় জয় ললিতা বিশাখা আদি যত সখী বৃন্দ।।
জয় জয় শ্রীরূপ মঞ্জুরী আদি মঞ্জুরী অনঙ্গ।।
জয় জয় পৌর্ণমাসী কুন্দলতা জয় রাধার বৃন্দ।।
জয় জয় সবে মিলে কর কৃপা আমি অতি মন্দ।।
জয় জয় সবে মিলে দাওগো যুগল চরণার বিন্দ।।
যেন আকুলপ্রানে ডাকতে পারি হা রাধা গোবিন্দ।
যেন ব্যকুলপ্রাণে গাইতে পারি জয় রাধা গোবিন্দ।
জয় জয় রাধে কৃষ্ণ গোবিন্দ।
রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ।।
যেই খেলা খেলিলে জীবের জন্ম মৃত্যু নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
খেলনা হরির নামের খেলা চেয়ে দেখ তোর যায় যে বেলা।
সময় থাকতে বাঁধ ভেলা আর তো সময় নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
হরি মাতা হরি পিতা হরি জীবের জ্ঞান দাতা।
হরি ছাড়া অন্য কথা আর বলিস না ভাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
সংসার বিষয়ানলে দিবানিশি হিয়া জ্বলে।
চেয়ে দেখ তোর ভূমন্ডলে আর তো কেহ নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
(ওহে) বৈষ্ণব ঠাকুর দয়ার সাগর
এ দাসে করুণা করি ।
দিয়া পদছায়া শোধহে আমারে
তোমার চরণ ধরি ॥
ছয় বেগ দমি' ছয় দোষ শোধি
ছয় গুণ দেহ দাসে ।
ছয় সৎসঙ্গ দেহ হে আমারে
বসেছি সঙ্গের আশে ॥*
একাকী আমার নাহি পায় বল
হরিনাম সংকীর্ত্তনে ।
তুমি কৃপা করি শ্রদ্ধাবিন্দু দিয়া
দেহ কৃষ্ণ নাম ধনে ॥
কৃষ্ণ সে তোমার কৃষ্ণ দিতে পার
তোমার শকতি আছে ।
আমি ত কাঙ্গাল 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ' বলি
ধাই তব পাছে পাছে ॥
💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠
হে গোবিন্দ রাখ চরণে।
মোরা তব চরণে শরণাগত
আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে
হে॥
গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ
বেয়ে
কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে
এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে
শ্রীহরি,
চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥
হরি ভিক্ষা চাহিলে
মানুষ নাহি ফিরায়
তোমারি দুয়ারে হাত
পাতিল যে,
ফিরাবে কি তুমি তায়।
হরি সব তরী ডুবে যায়
তোমার চরণ তরী ত' ডোবে না
হায়,
তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি
যদি
রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল আর কতকাল কান্দাবিরে; গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল। আশা কইরা ঘর বানাইলাম বসত করবো বলে দয়াল আশা কইরা ঘর বানাইলাম বসত করবো বলে; চাল ছাইতে পারলাম না আমি।। উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল দয়াল উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। আশা কইরা গাছ লাগাইলাম ফল পাবো বলে দয়াল আশা কইরা গাছ লাগাইলাম ফল পাবো বলে; জল দিতে পারলাম না আমি।। শুকাইয়া গেলো গাছেরই ডাল দয়াল শুকাইয়া গেলো গাছেরই ডাল। গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম জমি দিলাম চষে দয়াল হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম জমি দিলাম চষে; পরের জমি চষতে চষতে।। নিজের জমি হয় বেহাল দয়াল নিজের জমি হয় বেহাল। গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল আর কতকাল কান্দাবিরে; গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার, দুঃখেরই কপাল।। (শিল্পী-পরীক্ষিত বালা)
░▓█░█▓░░▓█░█▓░
ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবা সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্ ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
░▓█ শ্রী রাধারানী প্রণামঃ █▓░
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
░▓█ তুলসী প্রণাম মন্ত্র █▓░
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ ।
কৃষ্ণ ভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈঃ নমঃ নমঃ ।।
░▓█ সূর্যের প্রনাম মন্ত্র █▓░
ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং।
ধ্বান্তারিং সর্ব পাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।
░▓█ গনেশ প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম ।
বিঘ্ন বিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রনামাম্যহং ।।
░▓█ নারায়ণের প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গো-ব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
পাপোহহং পাপকর্মাহং পাপাত্মা পাপসম্ভবঃ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষ সর্ব্বপাপহরো হরি।।
░▓█ লক্ষী দেবীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র █▓░
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
░▓█ লক্ষী দেবীর প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তু তে।।
░▓█ দূর্গা পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রঃ █▓░
"ঔঁ জয়ন্তি মঙ্গলা কালী, ভদ্র কালী কপালিনী।
দূর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী, স্বাহা স্বধা নমস্তুতে।
এস স্ব চন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি।
নম ভগবতী দূর্গা দেবী নমহ্"
░▓█ দূর্গা প্রণাম মন্ত্র █▓░
সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়নী নমস্তুতে।।
░▓█ পিতা মন্ত্রঃ █▓░
পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ।
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ।।
নমঃ পিতৃ চরনৈভ্য নমঃ
░▓█ মাতা মন্ত্রঃ █▓░
মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র হৃদয়া সতী।
দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দ্দোশা সর্ব দুঃখ হারা।।
░▓█ বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র █▓░
দেবশিল্পিন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ।।
░▓█ গুরু প্রণাম মন্ত্র █▓░
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
░▓█ পঞ্চতত্ব প্রণাম মন্ত্র █▓░
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্।
ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্
░▓█ গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র █▓░
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
░▓█ বিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র █▓░
(অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে)
ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোবেতি বিশ্রুতঃ। বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে।।
░▓█ গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য
ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।
░▓█ জন্ম/ মৃত্যু সংবাদ মন্ত্র █▓░
জন্মঃ আয়ুষ্মান ভব
মৃত্যুঃঃ দিব্যান লোকান্ স্ব- গচ্ছতু।
মধ্যহ্ন ভোগ আরতি গান।
জয় জয় শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ নিত্যানন্দ
জয় জয় অদ্বৈত্য চন্দ্র জয় গৌর ভক্ত বৃন্দ।
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ কর অবদান
ভোজন মন্দিরে প্রভূ করহ পয়ান।
বসিতে আসন দিল রত্ন সিংহাসন
সুবাসিত জলে কৈলেন পদ প্রক্ষালন।
বামেতে অদ্বৈত্য চন্দ্র দক্ষিণে নিতাই হে
মধ্য আসনে বসেন শ্রী চৈতন্য গোসাই।
ভোজনের যত দ্রব্য কহিতে না পারি
তাহার উপরে দিল তুলসি মঞ্জুরী।
শাক শুকতা অন্ন আদি বিবিধ ব্যঞ্জণ
আনন্দে ভোজন করে শৌচির নন্দন।
দধি দুগ্ধ মধু ক্ষীর নানা উপহার
আনন্দেতে ভোজন করে শৌচির কুমার।
অমৃত রসাল রাম্ভা আরও লুচি পুরী
ভৃঞ্জার ভরিয়া সুবাসিত কারি।
জল পান করি প্রভূ করেন আচমন
সুর্বন খরিকা দিয়া দমত্ম ধাবন।
আচমন করি প্রভূ বসেন সিংহাসনে
প্রিয় ভক্তগনেণ করেন তাম্বুল সেবনে।
তাম্বুল সেবার পর নিভূতে শয়ন
গৌবিন্দ দাসে করেন চরণ সেবন।
ফুলের কেওয়ারি আরও ফুলের চোয়ারি
ফুলে রত্ন সিংহাসন চাঁদোয়া মশারি।
ফুলের বিছানা আর ফুলের বালিশ
তাহার মধ্য মহাপ্রভূ করেন আলিশ।
ফুলের পরাগ সব উড়ে গায়
ঘন সাধে গৌরি দাসে চামর দোলায়।
তিন প্রভূর ভোজনের অবশেষ তার নাহি অমত্ম
আনন্দে ভোজন করেন চৌষট্টি মহমত্ম।
মহমত্মগণের ভোজনের অবশেষ ভক্তে করে সাধ
কৃপা করি দাও হে মহা প্রভূর প্রসাদ।
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ দাসের আনুদাস
সেবায় অভিলাস মাগে নরোত্তম দাস।
তোমার অমৃত সুধা যেবা করে পান।
মানব হইয়া থাকে সে দেবতার সমান।।
গীতা বড় মধুময়, সর্বধর্ম সমান নয়।
ঘরে ঘরে পুজা হয়, ভব পাড়ের বন্ধু হয়।।
শ্রীকৃষ্ণের বাণী হয়, অনাদির আদি হয়।।
একবার জয় দাও, জয় দাও।।
জয় জয় গীতা প্রীতে জয় দাও, জয় দাও।।
মা জননী সবাই মিলে উলুধ্বনি দাও।।
ভক্তবৃন্দ সবাই মিলে জয়ের ধ্বনি দাও।।
জয় গীতা, জয় গীতা, জয় গীতা।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
০৬.
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৩)
(রাধে)গোবিন্দ গোবিন্দ
গোবিন্দ গোবিন্দ(২)
গোবিন্দ ব’লে সদা ডাকরে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে
ছাড় রে মন কপট চাতুরী
বদনে বল হরি হরি(২)
(হরি)নাম পরম ব্রহ্ম
জীবের মূল ধর্ম(২)
অধর্ম কুকর্ম ছাড়রে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে
ছাড়রে মন ভবের আশা
অজপা নামে কর রে নেশা(২)
(রাধে)গোবিন্দ নামটি
বদনে লইয়ে(২)
নয়ন-নীরে সদা ভাসরে।
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৩)
(রাধে)গোবিন্দ গোবিন্দ
গোবিন্দ গোবিন্দ(২)
গোবিন্দ ব’লে সদা ডাকরে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে
ছাড় রে মন কপট চাতুরী
বদনে বল হরি হরি(২)
(হরি)নাম পরম ব্রহ্ম
জীবের মূল ধর্ম(২)
অধর্ম কুকর্ম ছাড়রে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে
ছাড়রে মন ভবের আশা
অজপা নামে কর রে নেশা(২)
(রাধে)গোবিন্দ নামটি
বদনে লইয়ে(২)
নয়ন-নীরে সদা ভাসরে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৩)
(রাধে)গোবিন্দ গোবিন্দ
গোবিন্দ গোবিন্দ(২)
গোবিন্দ ব’লে সদা ডাকরে।
জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ
গোবিন্দ গোবিন্দ বল রে(৬)
(নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
০৭.
গোকুলের বনে বনে
গোকুলের বনে বনে ফাগুন আসে যায়নন্দের কানাইয়া বসে বাঁশরী বাজায়।।
বাসরী বাজায় কৃষ্ণ বাসরী বাজায়।
বাসরী বাজায় প্রভু বাসরী বাজায়।
নন্দের কানাইয়া বসে বাসরী বাজায়।।
মা যশোদার আনন্দেতে নাচে গোপিনী
কারাগারে দৈবকীর কাটে রজনী।।
কংস রাজা মথুরাতে ক্রোধে মরে যায়।।
ননী চোরা গোপাল আমার হাসিয়া বেড়ায়।।
শ্রীরাধিকা সখী সনে জল আনিতে যায়।।
অষ্টাজনার সখা কৃষ্ণ ভাবিয়া না পায়।।
এই যে প্রভুর নীলাতত্ব কয়জন বুঝে হায়।।
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে।
যুগে যুগে আসেন প্রভু ধরাধামে।।
দাপরেতে কৃষ্ণ নামে জয়ধ্বনি দাও।।
কলিতেও মহানাম জপে জপে যাও।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
________________________________ই
০৮.
"কে আনিলো রে"
কে আনিলো রে ?..... কোথায় ছিল রে?মধু মাখা হরি নাম..(2)
নদীয়া নগরে ....শচী মাতার ঘরে (2)
উদয় হইলো ... নিমাই চাঁদ .....
ঐ
হরি নাম ভজ ... নাম জপাে ...
নাম করো সার,
হরি নামে ভাসাও তরী ..... হয়ে যাবে পার..
হরি নামে মাতােয়ারা হরি নামে মাতােয়ারা
কে আনিলো রে?... মধু মাখা হরি নাম....
যত পাপী তাপী তরে গেল... এই হরি নামে
মুখে বলো হরি নাম ...... শ্রবন করো কানে
হরি নামে আছে সুধা ...ওওওওও ঐ
হরি নামে আছে সুধা .... অমৃত সমান ...
কে আনিলো রে?... কোথায় ছিল রে?
মধু মাখা হরি নাম... ঐ
বিজয় জীবন বলছে ....
হরি নাম ছাড়া গতি নাই
প্রেমানন্দে বাহু তোলে হরি বলো ভাই ....
হরি নামের জলে ডুব দিলে ....
ওওওওওও হরি নামের জলে ডুব দিলে ...
জুড়ায় মন প্রাণ।
কে আনিলো রে ?.... কোথায় ছিল রে ?....
মধু মাখা হরি নাম।
মধু মাখা হরি নাম।
মধু মাখা হরি নাম।
কোথায় ছিল রে?
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
০৯.
"সন্ধ্যা আরতিঃ"
নামযজ্ঞ আরম্ভিল মধুর বৃন্দাবনে।হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলরে বদনে।।
বেলা গেল সন্ধ্যা হল ঘরে ঘরে বাতি।
আজি গুরু মহারাজের মঙল আরতি।।
ধুপ দীপ পুষ্প হাতেতে লইয়া।
প্রভুর আরতি করে নাচিয়া নাচিয়া।।
শঙ্খ বাজে ঘন্টা বাজে বাজে করতাল।
মধুর মৃদঙ্গ বাজে শুনিতে রসাল।।
হরি হরি বল সবে আর সব মিছে।
পলাইতে পথ নাহি যম আছে পিছে।।
ব্রহ্মা আদি দেব যাবে ধ্যানে নাহি পায়।
সে হরি বঞ্চিত হলে কি হবে উপায়।।
শিব গুরু নারদ বেদ বিচারী।
পেল নারে নামের অন্ত অনন্ত মুরারী।।
যেই নাম সেই কৃষ্ণ ভজ নিষ্ঠা করি।
নামের সাথে আছেন আপনি শ্রীহরি।।
হরি নাম কৃষ্ণ নাম বড় মধুর।
যে জন কৃষ্ণ ভজে সে বড় চতুর।।
নাম ভজ নাম চিন্ত্য নাম কর সার।
নাম বিনে ভবার্ণবে গতি নাইরে আর।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১০.
"বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য"
আবার বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য সুদর্শনধারীপ্রভু এসো এসো ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।।
বহু দিন গত হয়....কুরুক্ষেত্রে ধনঞ্জয়,
শুনেছিল তব মুখে গীতামৃত বানী,
কত পাপী-তাপী তরে গেল তত্ত্ব কথা শুনি।।
পালতে বর্ণাশ্রম ধর্ম,........বুঝাতে বেদ বিধির মর্ম
জাগাও আবার লুপ্ত ধর্ম........সুপ্ত হৃদি মাঝে,
আমি জন্মি যেন তোমার নামে মরি তোমার কাজে।।
দাও হে শ্রদ্ধা ,দাও হে ভক্তি, দাও হে সেবা অনুরক্তি,
ঢাল প্রাণে নব শক্তি গীতামৃত দিয়ে
আমার নীরস প্রাণ সরস কর তত্ত্ববানী গেয়ে।।
কুরুক্ষেত্রে ঐ জয়গান ...গাওহে আবার হে ভগবান,
কাতরে করি আহবান গোলক বিহারী,
আমার শূণ্য আসন পূর্ণ কর ওহে দয়াল হরি।
আমি চিরকাল পার্থনা করি দাও হে চরণতরী।।
আবার বাজাও তোমার পাঞ্চজন্য সুদর্শন ধারী
প্রভু..এস এস ঋষিকেশ ধরার ভার হারী।।
নিতাই গৌর হরিবোল,নিতাই গৌর হরিবোল,নিতাই গৌর হরিবোল।
জয় গীতা....জয় গীতা....জয় গীতা....
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১১.
গুরু বন্দনা (ভব সাগর)
ভব-সাগর-তারণ-কারণ হে,রবি-নন্দন-বন্ধন-খণ্ডন হে,
শরণাগত কিঙ্কর ভীত মনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
হৃদি-কন্দর-তামস-ভাস্কর হে,
তুমি-বিষ্ণু-প্রজাপতি-শঙ্কর হে,
পরব্রহ্ম পরাৎপর বেদ ভণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
মন-বারণ-শাসন-অঙ্কুশ হে,
নরত্রাণ-তরে-হরি-চাক্ষুষ হে,
গুণগান-পরায়ণ দেবগণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
কুল-কুণ্ডলিনী-ঘুম-ভঞ্জক হে,
হৃদি-গ্রন্থি-বিদারণ-কারক হে,
মম মানস চঞ্চল রাত্রদিনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
রিপু-সূদন-মঙ্গল-নায়ক হে,
সুখ-শান্তি-বরাভয়-দায়ক হে,
ত্রয়তাপ হরে তব নাম গুণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
অভিমান-প্রভাব-বিমর্দ্দক হে,
গতিহীন-জনে-তুমি-রক্ষক হে,
চিত-শঙ্কিত-বঞ্চিত-ভক্তিধনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
তব নাম সদা শুভ-সাধক হে,
পতিতাধম-মানব-পাবক হে,
মহিমা তব গোচর শুদ্ধ মনে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
জয় সদ্গুরু ঈশ্বর-প্রাপক হে,
ভব-রোগ-বিকার-বিনাশক হে,
মন যেন রহে তব শ্রীচরণে,
গুরুদেব দয়া কর দীনজনে।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১২.
"হরি দিন তো গেল"
হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা
ডাকি হে তোমারে ।
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
পার কর আমারে !
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা
ডাকি হে তোমারে ।
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
আমি আগে এসে
ঘাটে রইলাম বসে
ওহে – আমায় কি পার করবেনা হে ?
আমায় কি পার করবেনা হে ?
আমি অধম বলে –
যারা পাছে এল আগে গেল
আমি রইলাম পড়ে !
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
ঘাটে রইলাম বসে
ওহে – আমায় কি পার করবেনা হে ?
আমায় কি পার করবেনা হে ?
আমি অধম বলে –
যারা পাছে এল আগে গেল
আমি রইলাম পড়ে !
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
শুনি কড়ি নাই যার
তুমি তারেও কর পার !
আমি সেই কথা শুনে ঘাটে এলাম হে
সেই কথা শুনে ঘাটে এলাম হে
কড়ি নাই যার
তুমি তারেও কর পার !
আমি দিন ভিখারি নাইকো কড়ি
দেখ ঝুলি ঝেড়ে !
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
তুমি তারেও কর পার !
আমি সেই কথা শুনে ঘাটে এলাম হে
সেই কথা শুনে ঘাটে এলাম হে
কড়ি নাই যার
তুমি তারেও কর পার !
আমি দিন ভিখারি নাইকো কড়ি
দেখ ঝুলি ঝেড়ে !
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
আমার পারের সম্বল
দয়াল নামটি কেবল !
তাই দয়াময় বলে ডাকি তোমায় হে
অধম তারণ বলে ডাকি তোমায় হে
পারের সম্বল
দয়াল নামটি কেবল !
ফিকির কেদে আকুল
পড়ে অকুল পাথারে সাঁতারে !
দয়াল নামটি কেবল !
তাই দয়াময় বলে ডাকি তোমায় হে
অধম তারণ বলে ডাকি তোমায় হে
পারের সম্বল
দয়াল নামটি কেবল !
ফিকির কেদে আকুল
পড়ে অকুল পাথারে সাঁতারে !
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা
ডাকি হে তোমারে ।
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
(Composed by: Pijush Nag)
পার কর আমারে !
তুমি পারের কর্তা শুনে বার্তা
ডাকি হে তোমারে ।
হরি দিনতো গেল সন্ধ্যা হল
পার কর আমারে !
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১৩.
গুরু বন্দনা (গুরু পদে)
গুরু পদে প্রেম ভক্তি
হইলো না মোর হওয়ার কালে
কিসে হবে সাধন ভজন।।
অনুরাগের সময় গেলে।
আগ বাজারে সদায় করলেরে মন
মণিমুক্তা সবই মিলে।।
আর পাবিনা শেষ বাজারে....।।
বেচা কেনার সময় গেলে......।। ঐ
যখন ফুলে মধু ছিলরে মন
ভ্রোমর আসত দলে দলে।
আর আসবে না সে ভ্রোমরা...।।
ফুলের মধু শুকাইয়া গেলে....ঐ
কাননে এক বৃক্ষ ছিলরে ও মন
ফল ধরে তার ডালে ডালে
ওরে অকালে ফল ধরলে পরে.....।।
নষ্ট হয় তার ফলে মুলে....ঐ
গোসাই কৃষ্ণ কমান বলে মনরে
ডুবল তোর সাধের তরী
অসময়ে পাড়ি দিলে....... ঐ
কেহ নাই ,কেহ নাই নাইরে
গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই।।
দয়াল গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই
গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই।
( মাখন পাল কতৃক সংগৃহিত)
কেহ নাই ,কেহ নাই নাইরে
গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই।।
দয়াল গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই
গুরু বিনে বান্ধব কেহ নাই।
( মাখন পাল কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
১৪
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ।।
________________________________
________________________________
১৫.
🌹এমন মধু মাখা কৃষ্ণ নাম🌹
এমন মধু মাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।ও আমার এ সংসারে..................
হিংসা নিন্দা চাপাবাজি আমার গেল না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
আমার মন হইয়াছে কাম রুপি.........
কেমনে বুঝায়ে রাখি গো।
আমার কু-পথে মন রইয়া গেল সু-পথে মন গেল না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
আমার মন যদি বৈরাগ্য হইতো,
কৃষ্ণ নামটি সদাই লইতো গো।
এমন কৃষ্ণ নামে.....
পাষান গলে সই গো আমার মন তো গলে না,
মন তো বসে না।
এমন মধুমাখা কৃষ্ণ নামে আমার মন তো বসে না।
(অর্জুন দত্ত কতৃক সংকলিত)
________________________________
________________________________
১৬.
আসর বন্দনা (এসো গৌরাঙ্গ)
এসো গৌরাঙ্গ (২)এসো নিতাই......।।
তোমার ভক্তবৃন্দ সঙ্গে নিয়ে এসো,
ঐ...................................................।।
এসো জুটো ভাই গৌর নিতাই,
দ্বীজ মনে দ্বীজ রাজহে।।
ভক্তগনের মাথার মনি,
দ্বীজ মনে,
সংকীর্তনের শীরমনি,
দ্বীজ মনে,.
........................ঝুমুর........................
পুজিব চরণ এই আকিঞ্চন,,
হরি রাখিব হৃদয় মাঝে,,,,,
পুজা করিব।।
ভক্তি চন্দন তুলসী দিয়ে পুজা করিব।
পুজা করিব।।
আমি নয়ন জলে অর্ঘ্য দিব,
পুজা করিব।।
কেশের চরণ মুছাইব,
পুজা করিব।
নয়ন জলে পা ধোয়াব,
পুজা করিব।
.........................ঝুমুর........................
হরি কি আছে আমার,
পুজার উপাচার কি দিয়ে পুজিব বল।।
আমার যা ছিল সম্বল নয়নের জল
তাও তো শুকায়ে গেল।।
ঐ....................................................।।
নয়ন বারি আমার শুকায়ে গেল।।
গুরু আমার উপায় বল।
নয়ন বারি আমার শুকায়ে গেল।।
যন্ত্র যদি পড়ে থাকে,,, লক্ষ জনার মাঝে
যন্ত্র কবি হনে যন্ত্র,,,কেমন করে বাজে।।
বাজেনা বাজেনা।।
যন্ত্র কবি হনে যন্ত্র,,, বাজেনা বাজেনা।
.........................ঝুমুর........................
আমি হইলাম কাষ্ঠের যন্ত্র তুমি যন্ত্রধারী,
হৃদয় মাঝে উদয় হলো ফুকারি ফুকারি।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও,
আমার দেহযন্ত্র পড়ে তরে,
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
আমার অশান্ত মন শান্ত হবে,
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
পাপী তাপী উদ্ধার হবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
ভাইয়ে ভাইয়ে মিলন হবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
ঘরে ঘরে নাম মিলাবে।
তোমার যন্ত্র তুমি বাজাও।।
হরি বল হরি বল হরি বল হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১৭.
"ভোমভোলা জয় জয়"
মঙলের জয় জয় শংকরের জয় জয়।।পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
ভোমভোলা জয় জয় শংকরের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
আদিনাথ জয় জয় চন্দ্রনাথ জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
গীতা মার জয় জয় শ্রীকৃষ্ণের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
ভক্তের জয় জয় গুরুজির জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
শম্ভুনাথ জয় জয় বিশ্বনাথ জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
মঙলের জয় জয় শংকরের জয় জয়।।
পার্বতীর প্রিয়পতি ভোলাজির জয় জয়।।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
১৮.
গুরু বন্দনা (গুরু দয়ে কর)
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।ও অকুলে পড়িয়া গো ডাকি কর করুনা।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
ভক্তি শূণ্য আমি দুরাচার,
সেবা বাদী অপরাধী কি গতি হইবে আমার।।
ও পাপে ভরা, দেহ গো জ্বরা,কেহ ছোবেনা।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
দিবানিশি বিষয় ভাবনা,
অর্থ চিন্তায় মত্ত হয়ে, শ্রীগুরু তোমায় চিনলাম না।।
ও কিসে তরী, ভেবে গো স্বরি উপায় দেখিনা।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
গুরু তুমি দয়াল অবতার,
শ্রী চরণ তরী দিয়ে এই দাসকে কর ভবপার।।
ও বহুদিনের মনের আশা গো,পূর্ণ হলো না।।
গুরু দয়ে কর, আমি তো সাধন জানিনা।।
( ডাঃ বিকাশ ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
১৯.
"গুরু উপায় বলো না"
গুরু উপায় বলো না,জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
গিয়েছিলাম ভবের বাজারে,
ছয় চোরাতে করল চুরি গুরু বাধলো আমারে।।
চোরায় চুরি করে খালাশ পাইলো গো
ও গুরু গো.....................।।
আমায় দিল জেলখানায়।।
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
শিশুকালে মইরা গেল মা,
গর্ভে রাইখা পিতা মরল গুরু চোখে দেখলাম না।
ওরে কে করিবে লালন পালন গো,
ও গুরু গো.....................।।
কে দিবে যে শান্তনা।
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
গুরু উপায় বলো না,
জনম দুঃখী কপাল পোড়া গুরু, আমি একজনা।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
২০.
🌹একবার হরি বলো রসনা🌹
একবার হরি বলো মন রসনা,একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
একবার হরি বলো মন বারে বার
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
একবার হরি বলো মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।
মানব দেহ মাটির ভান্ড,
ভাঙ্গলে হবে লন্ড ভন্ড,
ভাঙ্গলে যে আর জোড়া লাগে না।।
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
একবার হরি বলো মন বারে বার,
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
বেলা ডুবলে হবে রাত্রি,
সঙ্গে নাই মোর সঙ্গের সাথি,
এই ভব নদী কেমনে হবো পার।।
একবার হরি বলো মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।।
টাকা পয়সা বিদ্যা বাড়ি,
জীবন গেলে রবে রে পড়ি,
সঙ্গের সাথি কেউ তো হবে না।।
একবার হরি বল মন রসনা,
একবার কৃষ্ণ বলো মন রসনা,
মানব দেহের গৌরব কইরো না।
একবার হরি বলো মন বারে বার,
একবার কৃষ্ণ বলো মন বারে বার,
বেলা ডুবলে হবে অন্ধকার।।
(Noyan Bhowmik : 01632-205552)
________________________________
________________________________
🍁🍁🍁
🍁🍁🍁🍁🍁
🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁
২১.
★★★"দয়াল হরি"★★★
আমি অণুকল্পের পূজা করি।।
এসো এসো দয়াল হরি।।
দয়াল আমার হৃদয় মাঝে,
বিচিত্র এক আসন আছে।।
আমি সে আসনে বসাবো বসাবো।
আমি নয়ন জলে পা ধোঁয়াবো
আমি কেশে চরণ মুছাইবো।।(২)ঐ
এসো এসো দয়াল হরি।।
তোমার ভক্তের ডাকে,বিনয় করে।(২)ঐ
দয়াল এসো হে আসরে
এসো হে আসরে।।★
ভক্তের বাঞ্চা পূর্ণ হবে,
এসো হে আসরে।।★
মনের বাঞ্চা পূর্ণ হবে---------★।।
আসিলে আনন্দ হবে---------★।।
নিরানন্দ দুরে যাবে ----------★।।
প্রেমানন্দের উদয় হবে -------★।।
জয় গীতা-জয় গীতা-জয় গীতা-জয় গীতা।।(২)
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
২২.
"অঙ্গে মাখো, মাখো হে"
অঙ্গে মাখো,মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।ওরে ধুলা নয়রে,
ধুলা নয়রে গোপি পদ রেনু।।
সেই ধুলা বাঞ্চা করে নন্দের বেটা কানু।।
অঙ্গে মাখো, মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি পড়ে গঙ্গার জলে,
গঙ্গা মুক্ত হয় ভাগবতে বলে।
অঙ্গে মাখো,মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি অঙ্গে মাখা যায়,
কোটি জনের পাপ ছাড়িয়া স্বর্গে চলে যায় !!!
অঙ্গে মাখো,মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা যদি লাগে পাপীর গায়
সে পাপী নেচে নেচে বৈকুন্ঠেতে যায় !!!
অঙ্গে মাখো, মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা
ওরে সংকীর্তনের ধুলা নিয়ে যেবা পথে যায়
জলের কুমির বনের বাঘ ভয়েতে পালায়।।
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে সংকীর্তনের ধুলা রে ভাই যেবা করে হেলা..
সর্ব অঙ্গ নষ্ট হয় চক্ষু হয় তার কানা !!!
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
ওরে শ্রীধাম নাচে সুদাম নাচে নাচিতে লাগিলো
ওরে শ্রীধাম নাচে সুদাম নাচে নাচিতে লাগিলো
মা যশোদা নেচে নেচে কৃষ্ণ কোলে নিলো !!!
অঙ্গে মাখো মাখো হে এই নাম ব্রজের ধুলা।।
রাম কুন্ড রাধা কুন্ড গিরি গোবর্ধন।
মধুর মধুর বাদ্য বাজে এই তো বৃন্দাবন।।
......................(ঝুমুর).......................
হরি বল, হরি বল, হরি বল।।
হরি বলরে, হরি বলরে, হরি বলরে।।
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
২৩.
🌺🌺 'জীবন জীবন' 🌺🌺
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
আর কতকাল থাকবি জীবন আশায় আশায় চাইয়া রে,
একদিন তোমায় যাইতে হবে ভবের বিনয় লইয়া জীবন রে,,"""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
,
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
কিসের মায়া কিসের আশা কিসের ভালোবাসা রে,
ঘর বাড়ি ছাড়িয়া হবে শ্মশানে তোর বাসা জীবন রে,,""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
,
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
কাঁচা বাঁশের খাট পালঙ্ক, শুকনো বেতের পাটি,
চারজনে চার কাঁধে করে বলবে হরি হরি জীবন রে""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
""আরে ও জীবন রে, আরে ও জীবন রে,
ভাই বলো বন্ধু বলো কেউ তো কারো নয় রে,
দুই সংসারের আসা যাওয়া পথের পরিচয় জীবন রে।""
""জীবন জীবন জীবন বইলা রে,
আরে ও জীবন ছাড়িয়া যাইস না মোরে,
এমন সাধের জীবন আদর করবে কে জীবন রে,,""
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
২৪.
🌾 এখনো সে বৃন্দাবনে 🌾
বাঁশির সুরে মনের বনে ময়ূর নাচে রে।।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।
এখনো সে রাধারাণী বাঁশির সুরে পাগলীনি।
অষ্টসখী শিরমনি কদম তলায় রে।
এখনো সে বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
এখনো সেই ব্রজবালা বাঁশির সুরে হয় উতলা।
এখনো সেই ব্রজবালা জল আনিতে যায় ছলনা।
সেই ছলনায় কদম তলায় কৃষ্ণ আসে রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
এখনো সেই গাভী গুলি গো চারনে উড়ায় ধুলি।
সখার সনে কোলা কুলি কৃষ্ণ করে রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
আশা ছিল মনে মনে যাব মধুর বৃন্দাবনে।
ভব পাগলার সেই বাঁধনে পড়ে রইলাম রে।
এখনো সেই বৃন্দাবনে বাঁশি বাজে রে।।
( ডাঃ বিকাশ ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
২৫.
🌱আমি গুরু না ভজিলাম🌱
আমি গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
মানুষের করিলাম কী...?
গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
মানুষের করিলাম কী...?
আমি মানুষও হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
গুরু না ভজিলাম কি ভুলও করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
মানুষের করিলাম কী...?
আমার বাল্য কাল গেলো, হাসিতে খেলিতে
যৌবন কাল গেলো রসে।।
আমার বাল্য কাল গেলো, হাসিতে খেলিতে
যৌবন কাল গেলো রসে।।
আমি সু-রস ফেলিয়া, কু-রস খাইলাম,
সু-রস ফেলিয়া, কু-রস খাইলাম.
কলসি করিলাম খালি....।
মন আমার মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমার এই কেশও পাকিবে, দন্ত নড়িবে,
সম্বল হবে মোরও লাঠি।।
তখন পুত্র পরিজন সকলে বলিবে,
পুত্র পরিজন সকলে বলিবে
এ জঞ্জাল মরিলে বাঁচি।
মন আমার মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
আমি গুরু না ভজিলাম কি ভুলো করিলাম।
গুরু না ভজিলাম কি ভুলো করিলাম।
ভশ্মে ঢালিলাম ঘি...,
মানুষের করিলাম কী...?
আমি মানুষো হইয়া জন্ম লইয়া
মানুষ-এর করিলাম কি?
মানুষ-এর করিলাম কি?
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
২৬.
🍎🍏এই পৃথিবী যেমন আছে🍏🍎
এই পৃথিবী যেমন আছে তেমনি ঠিক রবে।সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।
মন্ত্র নগদ তলব তাকিত পত্র নেমে আসবে যবে।।
(মোহ ঘুমে) যেদিন আমার মুদিরে দুই চোখ।
পাড়া-পড়শী, প্রতিবেশী পাবে কিছু শোক।
সেদিন আমি যে এই পৃথিবীর লোক ভুলে যাবে সবে।।
(যতো বড়) হউকনা কেন রাজা-জমিদার
জুড়ি গাড়ি, পাকা বাড়ি, ট্রানজিস্টার।
ও তার থাকবে না আর কোন অধিকার, বিষয় ও বৈভবে।।
চন্দ্র-সূর্য্য, গ্রহ-তারা, আকাশ-বাতাস, জল
তারা যেমন আছে তেমনি ঠিক রইবে অবিকল।
সেদিন আমি থাকবোনা কেবল এই জনপূর্ণ ভবে।।
শব্দ-স্পর্শ, রূপ-রস, গন্ধ বন্ধ হলে যেন
এই পৃথিবীর অস্তিত্ত্ব বোধ থাকবেনা আর হেন।
পাগল বিজয় বলে সেই দিন যেন এসে পড়ে কবে।।
( নয়ন ভৌমিক কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
২৭.
"গুরু বন্দনাঃ বন্দে তোমারে গুরু"
বন্দে তোমারে গুরু।।তুমি আমার সুধার সিন্ধু আমি যে তৃষিত মরু
গুরু জীবনের ধ্রুব তারা।
আমি আঁধারে আঁধারে ঘুরিয়া ঘুরিয়া হয়ে যাই দিশেহারা।
তুমি যে জ্ঞানের প্রদীপ লইয়া ভয় নাই বলে পথ দেখাইয়া,
আগে আগে যাও ফিরে ফিরে চাও বুঝিয়া আমারে ভীরু।।
গুরু জীবনের পরম বন্ধু।
আমার শত অনাদর নাও সমাদরে অপার কৃপার সিন্ধু
দেখিতে আমার কত পাও, দোষ নাহি অভিমান নাহি কর রোষ
সদা হাসি মুখ প্রশান্তি সুমুখ হে মোর আশ্রয় তরু।
গুরু অন্তরে মম প্রাণ।
বাহিরেতে তুমি বিশ্বরুপ ধরি রহিয়াছে দৃশ্যমান।
নিরাকার তুমি দেহধারী হয়ে কর অভিনয় দেহী করে লয়ে।
নমি বিশ্ব প্রাণ কর পরিত্রাণ মোর কল্পতরু।
(Composed by: Pijush Nag)
________________________________
________________________________
২৮.
আসর বন্দনা
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
আমি সাধন বিহীন, ভজন বিহীন ডাকি তোমায় কাতরে।।
(এসো আসরে)
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
সত্যযুগে প্রহল্লাদকে পাঠাইলে তুমি দৈত্যের ঘরে গো।
তুমি নর সিংহ রূপ ধরে হরি উদ্ধারিলা দৈত্যেরে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
ত্রেতাযুগে রাম রূপেতে উদ্ধারিলা তুমি অহল্যাকে গো।
বনের বানর সঙ্গে সন্ধি করে রাবণকে নিধন করলে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
দাপরে মা যশোদাকে উদ্ধারিলে তুমি বিশ্বরুপ দেখায়ে
তুমি কৃষ্ণ নাম ধইরে হরি কংশকে নিধন করলে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
তোমার জন্য এ কলিকাল সাজিয়াছো তুমি শচীর দুলাল গো।
তুমি হরির নামের মালা গলে দিয়ে উদ্ধারিলা জগাই মাধাইরে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
সাজাইয়াছি হৃদিপাল দাওনা এসে শ্রীপাদ পদ্ম গো
আমি মন তুলসী ভক্তি চন্দন দিব রাঙা ঐ পদেতে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
আমি সাধন বিহীন, ভজন বিহীন ডাকি তোমায় কাতরে।।
(এসো আসরে)
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
সত্যযুগে প্রহল্লাদকে পাঠাইলে তুমি দৈত্যের ঘরে গো।
তুমি নর সিংহ রূপ ধরে হরি উদ্ধারিলা দৈত্যেরে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
ত্রেতাযুগে রাম রূপেতে উদ্ধারিলা তুমি অহল্যাকে গো।
বনের বানর সঙ্গে সন্ধি করে রাবণকে নিধন করলে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
দাপরে মা যশোদাকে উদ্ধারিলে তুমি বিশ্বরুপ দেখায়ে
তুমি কৃষ্ণ নাম ধইরে হরি কংশকে নিধন করলে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
তোমার জন্য এ কলিকাল সাজিয়াছো তুমি শচীর দুলাল গো।
তুমি হরির নামের মালা গলে দিয়ে উদ্ধারিলা জগাই মাধাইরে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
সাজাইয়াছি হৃদিপাল দাওনা এসে শ্রীপাদ পদ্ম গো
আমি মন তুলসী ভক্তি চন্দন দিব রাঙা ঐ পদেতে।।
দয়াল হরি হে, দয়া করে এসো আমার আসরে।
________________________________
________________________________
২৯.
পাঠের পূর্ব কীর্তন
জয় জয় নিত্যানন্দ দ্বৈত গৌরাঙ্গ
নিতাই গৌরাঙ্গ নিতাই গৌরাঙ্গ।।
এইবার আমায় দয়া কর নিতাই, নিতাই গৌরাঙ্গ।।
আমি বহু জন্মের অপরাধী
এই জন্মে নয়, জন্মে জন্মে বহু জন্মের অপরাধী।।
এইবার আমায় দয়া কর।
তুমি দয়ার সাগর দয়াময়
এইবার আমায় দয়া কর।
তোমরা সবে মিলে কর দয়া আমি অতি মন্দ।।
যেন আকুলপ্রানে গাইতে পারি হা নিতাই গৌরাঙ্গ।।
জয় জয় নিত্যানন্দ দ্বৈত গৌরাঙ্গ
নিতাই গৌরাঙ্গ নিতাই গৌরাঙ্গ।।
জয় জয় রাধে কৃষ্ণ গোবিন্দ।নিতাই গৌরাঙ্গ নিতাই গৌরাঙ্গ।।
এইবার আমায় দয়া কর নিতাই, নিতাই গৌরাঙ্গ।।
আমি বহু জন্মের অপরাধী
এই জন্মে নয়, জন্মে জন্মে বহু জন্মের অপরাধী।।
এইবার আমায় দয়া কর।
তুমি দয়ার সাগর দয়াময়
এইবার আমায় দয়া কর।
জয় জয় যশোদা নন্দন শচীসুত গৌরচন্দ্র।।
জয় জয় রোহিনী নন্দন বলরাম নিত্যানন্দ।।
জয় জয় মহাবিষ্ণু অবতার শ্রী অদ্বৈত চন্দ্র।।
জয় জয় গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।।
জয় জয় স্বরুপ রূপ সনাতন রায় রামানন্দ।।
জয় জয় খন্ডবাসী নরহরি মুরারী মুকুন্দ।।
জয় জয় পঞ্চপুত্র সঙ্গে নাচে রায় ভবানন্দ।।
জয় জয় তিন পুত্র সঙ্গে নাচে সেন শিবানন্দ।।
জয় জয় দ্বাদশ গোপাল আদি চৌষট্টি মোহন্ত।।
জয় জয় কৃপা করি দেহ গৌর চরণার বিন্দ।।
জয় জয় ছয় চক্রবর্তী অষ্ট কবিরাজ চন্দ্র।।
জয় জয় সার্বভৌম প্রতাপরুদ্র গোপিনাথাচার্য্য।।
জয় জয় উড়িয়া গৌড়িয়া আদি গৌর ভক্তবৃন্দ।।
তোমরা সবে মিলে কর দয়া আমি অতি মন্দ।।
যেন আকুলপ্রানে গাইতে পারি হা নিতাই গৌরাঙ্গ।।
জয় জয় নিত্যানন্দ দ্বৈত গৌরাঙ্গ
নিতাই গৌরাঙ্গ নিতাই গৌরাঙ্গ।।
________________________________
________________________________
৩০.
পাঠের পরের কীর্তন
রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ।।
জয় জয় শ্যামসুন্দর মদনমোহন বৃন্দাবন চন্দ্র।।
জয় জয় রাধারমণ রাসবিহারী শ্রীগোকুলানন্দ।।
জয় জয় রাধাকান্ত রাধাবিনোদ শ্রীরাধা গোবিন্দ।।
জয় জয় রাসেশ্বরী বিনোদিনী ভানুকুলচন্দ্র।।
জয় জয় ললিতা বিশাখা আদি যত সখী বৃন্দ।।
জয় জয় শ্রীরূপ মঞ্জুরী আদি মঞ্জুরী অনঙ্গ।।
জয় জয় পৌর্ণমাসী কুন্দলতা জয় রাধার বৃন্দ।।
জয় জয় সবে মিলে কর কৃপা আমি অতি মন্দ।।
জয় জয় সবে মিলে দাওগো যুগল চরণার বিন্দ।।
যেন আকুলপ্রানে ডাকতে পারি হা রাধা গোবিন্দ।
যেন ব্যকুলপ্রাণে গাইতে পারি জয় রাধা গোবিন্দ।
জয় জয় রাধে কৃষ্ণ গোবিন্দ।
রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ।।
________________________________
________________________________
৩১.
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে8
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
এমন সাধের মানব জনম গেল বিফলে।
দুই অক্ষরে নামটি রাধা,
অক্ষরে অক্ষরে সুধা।।
মিঠে যাবে ভব ক্ষুধা(২), করলে ভজনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
তিন অক্ষরে নাম গোবিন্দ,
তার সাথে কর সমন্ধ।।
মিঠে যাবে ভবের বন্ধন(২), করলে কীর্তনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
চার অক্ষরে রাধাকৃষ্ণ,
যুগল রূপে অবতীর্ণ।।
জীব উদ্ধারিত এল(২), এই ধরাধামে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
কররে নাম দিবানিশি,
নামে আছে গয়াকাশি।।
নামের গুনে চলে যাবে(২), মধুর বৃন্দাবনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
লক্ষ যোনী ভ্রমণ করে,
এ মানব দেহ পেয়েছিলে।
এবার তারে না ভজিলে(২), জনম যাবে বিফলে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
এমন সাধের মানব জনম গেল বিফলে।
দুই অক্ষরে নামটি রাধা,
অক্ষরে অক্ষরে সুধা।।
মিঠে যাবে ভব ক্ষুধা(২), করলে ভজনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
তিন অক্ষরে নাম গোবিন্দ,
তার সাথে কর সমন্ধ।।
মিঠে যাবে ভবের বন্ধন(২), করলে কীর্তনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
চার অক্ষরে রাধাকৃষ্ণ,
যুগল রূপে অবতীর্ণ।।
জীব উদ্ধারিত এল(২), এই ধরাধামে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
কররে নাম দিবানিশি,
নামে আছে গয়াকাশি।।
নামের গুনে চলে যাবে(২), মধুর বৃন্দাবনে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
লক্ষ যোনী ভ্রমণ করে,
এ মানব দেহ পেয়েছিলে।
এবার তারে না ভজিলে(২), জনম যাবে বিফলে।।
জয় রাধে গোবিন্দ নাম বল বদনে।
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
৩২.
গৌর এল মানুষ রূপে
গৌর এল মানুষ রূপে,
নিতাই এল মানুষ রূপে
ঘরে ঘরে "নাম ধন দিতে"।
সত্যযুগে দয়াল আমার
ভেসেছিল ভোট পত্রেতে
অকর্স্ম্যাতে কর্ণমুনি (2 বার)
দেখা হল জল কেলিতে।। ঘরে ঘরে..... ঐ
ত্রেতাযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল রাম রূপেতে।
লঙ্কাপুরে রাবণ রাজা (২বার)
বধ করিল আপন হাতে।।... ঐ
দ্বাপরযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল নন্দের ঘরে।
কংস করিয়ে ধ্বংস (২বার)
রাজা হল মথুরাতে।।....... ঐ
কলিযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল শচীর ঘরে।
পরণে তার কপিন খন্ড (২বার)
কমন্ডলি নিয়ে হাতে।।....ঐ
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
নিতাই এল মানুষ রূপে
ঘরে ঘরে "নাম ধন দিতে"।
সত্যযুগে দয়াল আমার
ভেসেছিল ভোট পত্রেতে
অকর্স্ম্যাতে কর্ণমুনি (2 বার)
দেখা হল জল কেলিতে।। ঘরে ঘরে..... ঐ
ত্রেতাযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল রাম রূপেতে।
লঙ্কাপুরে রাবণ রাজা (২বার)
বধ করিল আপন হাতে।।... ঐ
দ্বাপরযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল নন্দের ঘরে।
কংস করিয়ে ধ্বংস (২বার)
রাজা হল মথুরাতে।।....... ঐ
কলিযুগে দয়াল আমার
জন্ম নিল শচীর ঘরে।
পরণে তার কপিন খন্ড (২বার)
কমন্ডলি নিয়ে হাতে।।....ঐ
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
৩৩.
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
আমি বনফুলে সাজাইয়ে পুজিব যুগল চরণ।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি ত্রিভঙ্গ বাঁকা, ব্রজ রাখালের সখা।
তোমার রাই কিশোরী বামে নিয়ে দাও হে দেখা।।
আমি নয়ন ভরি, রূপমাধুরী, করব আজি দরশন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি এসো আসরে, আমি ডাকি কাতরে।
ভজন বিহীন বলে আমায় করুনা করে।।
আমার আসরেতে এসো হরি, কইরে নাম সংকীর্তন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
আমায় দেখা না দিলে, ঐ নামে কলঙ্ক রবে।
পতিত পাবন বলে তোমায় ডাকবেনা ভবে।।
আমি মন সাধে অভয়পদে দিব তুলসী চন্দন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি আমার মনের আকিঞ্চন
হরি এসে দাও হে দরশন
হরি এসে কর সংকীর্তন
হরি সঙ্গে নিয়ে ভক্তগন।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
হরি বলনা সবে ভাই নামের সেই খেলা খেলাই।আমি বনফুলে সাজাইয়ে পুজিব যুগল চরণ।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি ত্রিভঙ্গ বাঁকা, ব্রজ রাখালের সখা।
তোমার রাই কিশোরী বামে নিয়ে দাও হে দেখা।।
আমি নয়ন ভরি, রূপমাধুরী, করব আজি দরশন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি এসো আসরে, আমি ডাকি কাতরে।
ভজন বিহীন বলে আমায় করুনা করে।।
আমার আসরেতে এসো হরি, কইরে নাম সংকীর্তন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
আমায় দেখা না দিলে, ঐ নামে কলঙ্ক রবে।
পতিত পাবন বলে তোমায় ডাকবেনা ভবে।।
আমি মন সাধে অভয়পদে দিব তুলসী চন্দন।।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
হরি আমার মনের আকিঞ্চন
হরি এসে দাও হে দরশন
হরি এসে কর সংকীর্তন
হরি সঙ্গে নিয়ে ভক্তগন।
.........................আসরে কর পদার্পণ।
কোথায় আছ হে নিরোদ বরণ আসরে কর পদার্পণ।
(রতন চন্দ্র নাথ,চাঁদপুর কতৃক সংগৃহিত)
________________________________
________________________________
৩৪.
মন শিক্ষা (হরি বলনা সবে ভাই)
যেই খেলা খেলিলে জীবের জন্ম মৃত্যু নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
খেলনা হরির নামের খেলা চেয়ে দেখ তোর যায় যে বেলা।
সময় থাকতে বাঁধ ভেলা আর তো সময় নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
হরি মাতা হরি পিতা হরি জীবের জ্ঞান দাতা।
হরি ছাড়া অন্য কথা আর বলিস না ভাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
সংসার বিষয়ানলে দিবানিশি হিয়া জ্বলে।
চেয়ে দেখ তোর ভূমন্ডলে আর তো কেহ নাই।
......................নামের সেই খেলা খেলাই।
________________________________
________________________________
৩৫.
বৈষ্ণব বন্দনা
এ দাসে করুণা করি ।
দিয়া পদছায়া শোধহে আমারে
তোমার চরণ ধরি ॥
ছয় বেগ দমি' ছয় দোষ শোধি
ছয় গুণ দেহ দাসে ।
ছয় সৎসঙ্গ দেহ হে আমারে
বসেছি সঙ্গের আশে ॥*
একাকী আমার নাহি পায় বল
হরিনাম সংকীর্ত্তনে ।
তুমি কৃপা করি শ্রদ্ধাবিন্দু দিয়া
দেহ কৃষ্ণ নাম ধনে ॥
কৃষ্ণ সে তোমার কৃষ্ণ দিতে পার
তোমার শকতি আছে ।
আমি ত কাঙ্গাল 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ' বলি
ধাই তব পাছে পাছে ॥
💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠
৩৬.
আমার বন্ধু দয়াময়
আমার বন্ধু দয়াময়
তোমারে দেখিবার মনে লয়।
তোমারে না দেখলে রাধার
জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।।
তোমারে দেখিবার মনে লয়।
তোমারে না দেখলে রাধার
জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।।
কদম ডালে বইসারে বন্ধু
ভাঙ্গ কদম্বের আগা।
শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া
যৌবনকালে দাগা রে।।
ভাঙ্গ কদম্বের আগা।
শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া
যৌবনকালে দাগা রে।।
তমাল ডালে বইসারে বন্ধু
বাজাও রঙের বাশি।
সুর শুনিয়া রাধার মন
হইলো যে উদাসি রে।।
বাজাও রঙের বাশি।
সুর শুনিয়া রাধার মন
হইলো যে উদাসি রে।।
ভাই বেরাদার রমন বলে
মনেতে ভাবিয়া।
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।।
💠💠💠💠💠💠💠💠💠💠মনেতে ভাবিয়া।
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।।
৩৭.
গুরুবন্দনা
শ্রী গুরু চরণ পদ্ম, কেবল ভকতি সদ্ম
বন্দোঁ মুই সাবধান মতে
যাহার প্রসাদে ভাই, এইভব তরিয়া যায়
কৃষ্ণ প্রাপ্তি হয় যাহাহৈতে
(২)
গুরু মুখ পদ্ম বাক্য, চিত্তেতে করিব ঐক্য
আর না কোরিও মনেআশা
শ্রী গুরু চরণে রতি, এইসে উত্তম গতি,
যে প্রসাদে পূরে সর্ব্বআশা
(৩)
চক্ষু দান দিল যেই, জন্মেজন্মে প্রভু সেই,
দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত
প্রেম ভক্তি যাহা হৈতে, অবিদ্যা বিনাশ যাতে
বেদে গায় যাহার চরিত
(৪)
শ্রী গুরু করুণা সিন্ধু, অধম জনার বন্ধু,
লোকনাথ লোকেরজীবন
হা হা প্রভু! কর দয়া, দেহো মোরে পদ-ছায়া,
এবে যশঃ ঘুষুক ত্রি-ভুবন
(৫)
প্রান ভরে জয় দাও
পরম দয়াল শ্রী গুরুদেবের প্রান ভরে জয় দাও।
যার কৃপাতে নাম পেলাম শ্রী গুরুদেবের জয় দাও।
আমায় কৃষ্ণমন্ত্র প্রদান কারী গুরুদেবের জয় দাও।
আমার ভব পাড়ের কান্ডারী গুরুদেবের জয় দাও।
আমায় যেচে যেচে নাম দিয়াছেন গুরুদেবের জয় হোক।
আমায় যেচে যেচে নাম দিয়েছেন,
পরম দয়াল শ্রীগুরুদেবে যেচে যেচে নাম দিয়েছেন।
অজাশ্রিত কৃপা স্বভাবের, যেচে যেচে নাম দিয়েছেন।
অধম পতিত জনের, যেচে যেচে নাম দিয়েছেন।
যার জয়ে জয় ভক্তের জয় গুরুদেবের জয় জয়।
গুরুদেব, গুরুদেব গুরুদেব গুরুদেব
____________________
হে গোবিন্দ রাখ চরণে।
মোরা তব চরণে শরণাগত
আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে
হে॥
গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ
বেয়ে
কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে
এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে
শ্রীহরি,
চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥
হরি ভিক্ষা চাহিলে
মানুষ নাহি ফিরায়
তোমারি দুয়ারে হাত
পাতিল যে,
ফিরাবে কি তুমি তায়।
হরি সব তরী ডুবে যায়
তোমার চরণ তরী ত' ডোবে না
হায়,
তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি
যদি
রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল আর কতকাল কান্দাবিরে; গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল। আশা কইরা ঘর বানাইলাম বসত করবো বলে দয়াল আশা কইরা ঘর বানাইলাম বসত করবো বলে; চাল ছাইতে পারলাম না আমি।। উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল দয়াল উড়াইয়া নিলো ঘরের চাল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। আশা কইরা গাছ লাগাইলাম ফল পাবো বলে দয়াল আশা কইরা গাছ লাগাইলাম ফল পাবো বলে; জল দিতে পারলাম না আমি।। শুকাইয়া গেলো গাছেরই ডাল দয়াল শুকাইয়া গেলো গাছেরই ডাল। গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম জমি দিলাম চষে দয়াল হাল দিলাম লাঙ্গল দিলাম জমি দিলাম চষে; পরের জমি চষতে চষতে।। নিজের জমি হয় বেহাল দয়াল নিজের জমি হয় বেহাল। গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার দুঃখের এই কপাল। আর কতকাল কান্দাবিরে দয়াল আর কতকাল কান্দাবিরে; গেলো না আমার দুঃখেরই কপাল ও দয়াল গেলো না আমার, দুঃখেরই কপাল।। (শিল্পী-পরীক্ষিত বালা)
░▓█░█▓░░▓█░█▓░
বিভিন্ন প্রকার মন্ত্রঃ
________________________________
░▓█ দেহ শুচীর মন্ত্র █▓░ওঁ অপবিত্র পবিত্রোবা সর্বাবস্থান গতহ্বপিবা।
যৎ সরেত পুন্ডরিকাক্ষং স বাহ্য অভ্যান্তরে শুচি।।
পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্ ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি।।
░▓█ শ্রী রাধারানী প্রণামঃ █▓░
তপ্ত কাঞ্চন গৌরাঙ্গীং রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী।
বৃষভানু সূতে দেবী তাং প্রণমামি হরি প্রিয়ে।।
░▓█ তুলসী প্রণাম মন্ত্র █▓░
বৃন্দায়ৈ তুলসী দৈব্যে প্রিয়ায়ৈ কেশবস্য চ ।
কৃষ্ণ ভক্তি প্রদে দেবী সত্যবত্যৈঃ নমঃ নমঃ ।।
░▓█ সূর্যের প্রনাম মন্ত্র █▓░
ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিং।
ধ্বান্তারিং সর্ব পাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।
░▓█ গনেশ প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম ।
বিঘ্ন বিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রনামাম্যহং ।।
░▓█ নারায়ণের প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গো-ব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।।
পাপোহহং পাপকর্মাহং পাপাত্মা পাপসম্ভবঃ।
ত্রাহি মাং পুন্ডরীকাক্ষ সর্ব্বপাপহরো হরি।।
░▓█ লক্ষী দেবীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র █▓░
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
░▓█ লক্ষী দেবীর প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোহস্তু তে।।
░▓█ দূর্গা পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রঃ █▓░
"ঔঁ জয়ন্তি মঙ্গলা কালী, ভদ্র কালী কপালিনী।
দূর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী, স্বাহা স্বধা নমস্তুতে।
এস স্ব চন্দন পুষ্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি।
নম ভগবতী দূর্গা দেবী নমহ্"
░▓█ দূর্গা প্রণাম মন্ত্র █▓░
সর্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থ সাধিকে।
শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়নী নমস্তুতে।।
░▓█ পিতা মন্ত্রঃ █▓░
পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপ।
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতাঃ।।
নমঃ পিতৃ চরনৈভ্য নমঃ
░▓█ মাতা মন্ত্রঃ █▓░
মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র হৃদয়া সতী।
দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দ্দোশা সর্ব দুঃখ হারা।।
░▓█ বিশ্বকর্মা প্রণাম মন্ত্র █▓░
দেবশিল্পিন মহাভাগ দেবানাং কার্যসাধক।
বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টফলপ্রদ।।
░▓█ গুরু প্রণাম মন্ত্র █▓░
অখন্ড মন্ডলা কারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তদপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া।
চক্ষুরুন্মিলিত যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেব মহেশ্বর।
গুরু রেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।।
░▓█ পঞ্চতত্ব প্রণাম মন্ত্র █▓░
পঞ্চতত্ত্ব আত্মকং কৃষ্ণং ভক্তরূপ স্বরূপকম্।
ভক্ত অবতারং ভক্তাখ্যাং নমামি ভক্ত শক্তিকম্
░▓█ গোবিন্দ প্রণাম মন্ত্র █▓░
ঔঁ ব্রহ্মাণ্ড দেবায় গোব্রাহ্মণ হিতায় চঃ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ।।
░▓█ বিষ্ণু প্রণাম মন্ত্র █▓░
(অশ্বথ বৃক্ষমূলে জল দিয়ে)
ওঁ অশ্বত্থ বৃক্ষরূপোবেতি বিশ্রুতঃ। বিষ্ণুরপধরোহসি ত্বং পুণ্যবৃক্ষ নমোহস্ত্ত তে।।
░▓█ গায়ত্রী প্রণাম মন্ত্র █▓░
ওঁ ভূর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য
ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।
░▓█ জন্ম/ মৃত্যু সংবাদ মন্ত্র █▓░
জন্মঃ আয়ুষ্মান ভব
মৃত্যুঃঃ দিব্যান লোকান্ স্ব- গচ্ছতু।
________________________________
🌱🌱
🌱🌱🌱🌱🌱
🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱
________________________________
শ্রীকৃষ্ণের অষ্টোত্তর-শতনাম
জয় জয় গোবিন্দ গোপাল গদাধর।
কৃষ্ণচন্দ্র কর কৃপা করুণা-সাগর।।
জয় রাধে গোবিন্দ গোপাল বনমালী।
শ্রীরাধার প্রাণধন মুকুন্দ-মুরারী।।
হরিনাম বিনে রে (ভাই) গোবিন্দ নাম বিনে।
বিফলে মনুষ্য জন্ম যায় দিনে দিনে।।
দিন গেল মিছা কাজে রাত্রি গেল নিদ্রে।
না ভজিনু রাধাকৃষ্ণ-চরণার বৃন্দে।।
কৃষ্ণ ভজিবার তরে সংসারে আইনু।
মিছা মায়ায় বদ্ধ হয়ে বৃক্ষসম হৈনু।।
ফলরূপে পুত্র-কন্যা ডাল ভাঙ্গি পড়ে।
কালরূপে সংসারেতে পক্ষ বাসা করে।।
যখন কৃষ্ণ জন্ম নিলেন দৈবকী উদরে।
মথুরাতে দেবগণ পুষ্পবৃষ্টি করে।।
বসুদেব রাখি আইল নন্দের মন্দিরে।
নন্দের আলয়ে কৃষ্ণ দিনে দিনে বাড়ে।।
শ্রীনন্দ রাখিল নাম নন্দের নন্দন।১
যশোদা রাখিল নাম যাদু বাছাধন।।২
উপানন্দ নাম রাখে সুন্দর-গোপাল।৩
ব্রজবালক নাম রাখে-ঠাকুর রাখাল।।৪
সুবল রাখিল নাম ঠাকুর কানাই।৫
শ্রীদাম রাখিল নাম রাখাল-রাজা ভাই।।৬
ননীচোরা নাম রাখে যতেক গোপিনী।৭
কালসোণা নাম রাখে রাধাবিনোদিনী।।৮
কুব্জা রাখিল নাম পতিত-পাবন-হরি।৯
চন্দ্রাবলী নাম রাখে মোহন-বংশীধারী।।১০
অনন্ত রাখিল নাম অন্ত না পাইয়া।১১
কৃষ্ণ নাম রাখে গর্গ ধ্যানেতে জানিয়া।।১২
অণ্বমুনি নাম রাখে দেবচক্রপাণি।১৩
বনমালী নাম রাখে বনের হরিণী।।১৪
গজহস্তী নাম রাখে শ্রীমধুসূদন।১৫
অজামিল নাম রাখে দেব নারায়ন।।১৬
পুরন্দর নাম রাখে দেব শ্রীগোবিন্দ।১৭
দ্রৌপদী রাখিল নাম দেব দীনবন্ধু।।১৮
সুদাম রাখিল নাম দারিদ্র্য-ভঞ্জন।১৯
ব্রজবাসী নাম রাখে ব্রজের জীবন।।২০
দর্পহারী নাম রাখে অর্জ্জুন সুধীর।২১
পশুপতি নাম রাখে গরুড় মহাবীর।।২২
যুধিষ্ঠির নাম রাখে দেব যদুবর।২৩
বিদুর রাখিল নাম কাঙ্গালের ঠাকুর।।২৪
বাসুকী রাখিল নাম দেব-সৃষ্টি-স্থিতি।২৫
ধ্রুবলোকে নাম রাখে ধ্রুবের সারথী।।২৬
নারদ রাখিল নাম ভক্ত-প্রাণধন।২৭
ভীষ্মদেব নাম রাখে লক্ষ্মী-নারায়ণ।।২৮
সত্যভামা নাম রাখে সত্যের সারথী।২৯
জাম্ববতী নাম রাখে দেব যোদ্ধাপতি।।৩০
বিশ্বামিত্র নাম রাখে সংসারের সার।৩১
অহল্যা রাখিল নাম পাষাণ-উদ্ধার।।৩২
ভৃগুমুনি নাম রাখে জগতের হরি।৩৩
পঞ্চমুখে রামনাম গান ত্রিপুরারি।।৩৪
কুঞ্জকেশী নাম রাখে বলী সদাচারী।৩৫
প্রহ্লাদ রাখিল নাম নৃসিংহ-মুরারী।।৩৬
বশিষ্ঠ রাখিল নাম মুনি-মনোহর।৩৭
বিশ্বাবসু নাম রাখে নবজলধর।।৩৮
সম্বর্ত্তক রাখে নাম গোবর্দ্ধনধারী।৩৯
প্রাণপতি নাম রাখে যত ব্রজনারী।।৪০
অদিতি রাখিল নাম আরতি-সূদন।৪১
গদাধর নাম রাখে যমল-অর্জ্জুন।।৪২
মহাযোদ্ধা নাম রাখে ভীম মহাবল।৪৩
দয়ানিধি রাখে নাম দরিদ্র সকল।।৪৪
বৃন্দাবন-চন্দ্র নাম রাখে বৃন্দাদূতি।৪৫
বিরজা রাখিল নাম যমুনার পতি।।৪৬
বাণীপতি নাম রাখে গুরু বৃহস্পতি।৪৭
লক্ষ্মীপতি রাখে নাম সুমন্ত্র সারথি।।৪৮
সন্দীপনি নাম রাখে দেব অন্তর্য্যামী।৪৯
পরাশর নাম রাখে ত্রিলোকের স্বামী।।৫০
পদ্মযোনি নাম রাখে অনাদির আদি।৫১
নট-নারায়ণ নাম রাখিল সম্বাদি।।৫২
হরেকৃষ্ণ নাম রাখে প্রিয় বলরাম।৫৩
ললিতা রাখিল নাম দুর্ব্বাদলশ্যাম।।৫৪
বিশাখা রাখিল নাম অনঙ্গমোহন।৫৫
সুচিত্রা রাখিল নাম শ্রীবংশীবদন।।৫৬
আয়ান রাখিল নাম ক্রোধ-নিবারণ।৫৭
চন্ডকেশী নাম রাখে কৃতান্ত-শাসন।।৫৮
জ্যোতিষ্ক রাখিল নাম নীলকান্তমণি।৫৯
গোপীকান্ত নাম রাখে সুদাম-ঘরণী।।৬০
ভক্তগণ নাম রাখে দেব জগন্নাথ।৬১
দুর্ব্বাসা রাখেন নাম অনাথের নাথ।।৬২
রাসেশ্বর নাম রাখে যতেক মালিনী।৬৩
সর্ব্ব-যজ্ঞেশ্বর নাম রাখেন শিবানী।।৬৪
উদ্ধব রাখিল নাম মিত্র-হিতকারী।৬৫
অক্রুর রাখিল নাম ভব-ভয়হারী।।৬৬
গুঞ্জমালী নাম রাখে নীল-পীতবাস।৬৭
সর্ব্ববেত্তা রাখে নাম দ্বৈপায়ণ ব্যাস।।৬৮
অষ্টসখী নাম রাখে ব্রজের ঈশ্বর।৬৯
সুরলোক রাখে নাম অখিলের সার।।৭০
বৃষভানু নাম রাখে পরম ঈশ্বর।৭১
স্বর্গবাসী রাখে নাম দেব পরাৎপর।।৭২
পুলোমা রাখেন নাম অনাথের সখা।৭৩
রসসিন্ধু নাম রাখে সখী চিত্রলেখা।।৭৪
চিত্ররথ নাম রাখে অরাতি-দমন।৭৫
পুলস্ত্য রাখিল নাম নয়ন-রঞ্জন।।৭৬
কশ্যপ রাখেন নাম রাস-রাসেশ্বর।৭৭
ভাণ্ডারীক নাম রাখে পূর্ণ-শশধর।।৭৮
সুমালী রাখিল নাম পুরুষ-প্রধান।৭৯
পুরঞ্জন নাম রাখে ভক্তগণ-প্রাণ।।৮০
রজকিনী নাম রাখে নন্দের-দুলাল।৮১
আহ্লাদিনী নাম রাখে ব্রজের-গোপাল।।৮২
দেবকী রাখিল নাম নয়নের মণি।৮৩
জ্যোতির্ম্ময় নাম রাখে যাজ্ঞবল্ক্য মুনি।।৮৪
অত্রিমুনি নাম রাখে কোটি-চন্দ্রেশ্বর।৮৫
গৌতম রাখিল নাম দেব বিশ্বম্ভর।।৮৬
মরীচি রাখিল নাম অচিন্ত্য-অচ্যুত।৮৭
জ্ঞানাতীত নাম রাখে সৌনকাদি সুত।।৮৮
রুদ্রগণ নাম রাখে দেব-মহাকাল।৮৯
বসুগণ রাখে নাম ঠাকুর দয়াল।।৯০
সিদ্ধগণ নাম রাখে পুতনা-নাশন।৯১
সিদ্ধার্থ রাখিল নাম কপিল তপোধন।।৯২
ভাগুরি রাখিল নাম অগতির গতি।৯৩
মৎস্যগন্ধা নাম রাখে ত্রিলোকের পতি।।৯৪
শুক্রাচার্য্য রাখে নাম অখিল-বান্ধব।৯৫
বিষ্ণুলোকে নাম রাখে দেব শ্রীমাধব।।৯৬
যদুগণ রাখে নাম যদুকুলপতি।৯৭
অশ্বিনীকুমার নাম রাখে সৃষ্টি-স্থিতি।।৯৮
অর্য্যমা রাখিল নাম কাল-নিবারণ।৯৯
সত্যবতী নাম রাখে অজ্ঞান-নাশন।।১০০
পদ্মাক্ষ রাখিল নাম ভ্রমর-ভ্রমরী।১০১
ত্রিভঙ্গ রাখিল নাম যত সহচরী।।১০২
বঙ্কচন্দ্র নাম রাখে শ্রীরূপমঞ্জরী।১০৩
মাধুরী রাখিল নাম গোপ-মনোহারী।।১০৪
মঞ্জুমালী নাম রাখে অভীষ্ট-পুরণ।১০৫
কুটিলা রাখিল নাম মদন-মোহন।।১০৬
মঞ্জরী রাখিল নাম কর্ম্মবন্ধ-নাশ।১০৭
ব্রজবধূ নাম রাখে পূর্ণ-অভিলাষ।।১০৮
________________________________
________________________________
মহাপ্রভুর ভোগ আরতি
ভজ পতিত উদ্ধারণ শ্রীগৌরহরি ।
শ্রীগৌরহরি নবদ্বীপ বিহারী ।
দীন দয়াময় হিতকারী । ।
এস এস মহাপ্রভু করি নিবেদন।
শান্তিপুরে মোর গৃহে কর আগমন।।
প্রভু লয়ে সীতানাথ করিলেন গমন।
মধ্যাহ্ন সময়কালে প্রভুর আগমন।
অদ্বৈত গৃহিণী আর শান্তিপুর নারী।।
উলুধ্বনি দেয় সবে গোরা মুখ হেরি।।
বসিতে আসন দিলা রত্ন সিংহাসন।
সুশীতল জলে কৈলা পাদ প্রক্ষালন।।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু কর অবধান।
ভোগ মন্দিরে প্রভু করহ পায়ান।।
বামেতে অদ্বৈত প্রভু দক্ষিণে নিতাই।
মধ্যাসনে বসিলেন চৈতন্য গোঁসাই।।
শাক শুকতা ভাজি দিয়ে সারি সারি।
ভোগের উপর দিল তুলসী মঞ্জরী।।
গঙ্গাজল তুলসী দিয়া ভোগ কৈল নিবেদন।
আনন্দে ভোজন করেন শ্রীশচীনন্দন।।
দধি দুগ্ধ ঘৃত ছানা নানা উপহার।
আনন্দে ভোজন করেন শচীর কুমার।।
মালপোয়া সর ভাজা আর লুচিপুরী।
আনন্দে ভোজন করেন নদীয়াবিহারী।।
নিতাই রাঙ্গিয়া মোর খাইতে খাইতে।
ভাল ভাল বলি তুলি দেয় গৌরাঙ্গ মুখেতে
না জানিয়ে পরিপাটি না জানি রন্ধন।
শুখা রুখা এক মুষ্টি করহ ভোজন।।
খাইতে খাইতে প্রভুর ভাবাবিষ্ট মন।
রাধাকুণ্ডের ভোজন লীলা হইল স্মরণ।।
ভজ গোবিন্দ মাধব গিরিধারী।
জয় গিরিধারী গোবর্দ্ধনধারী।।
কেলি কলারস মনোহারী।।
রতন মন্দির ঘর রত্নের আসন।
তার মধ্যে বৃন্দাদেবী করিল সাজন।।
রতন থালিতে ভোগ করি সারি সারি।
ফল আদি নানা দ্রব্য কহিতে না পারি।।
অমৃতকেলি ক্ষীর পুরী আর শিখারিণী।
দধি দুগ্ধ ঘৃত ছানা মণ্ডা সর ননী।।
রতন আসন পর বৈঠাল কান।
ভোজন কয়ন আপন মন মান।।
আচমন সারি তলপে মুখবাস।
ভোজন করূ ধনী সখীগণ পাশ।।
যো কছু ভুঞ্জল সখীগণ সাথ।
আচমন কয়ল মুছল পদ হাত।।
শ্যাম বামে ধনী বসিলেন যাই।
প্রিয় নম্র সখিগন তাম্বূল যোগাই।।
রতন পালঙ্ক পরি করিল শয়ন।
নির্ম্নঞ্ছন দিয়া সেবে কুঞ্জদাসীগণ।।
পুষ্পশয্যা পরি দুহঁ শ্রীরাধাগোবিন্দ।
নিকুঞ্জের দ্বারে দেখে যত সখীবৃন্দ।।
জয় জয় শব্দ করে শুক শারী।
নরোত্তম দাস হেরে ও রুপ মাধুরী।।
ভোজনের অবশেষ কহিতে না পারি।
সুবর্ণ ভৃঙ্গারে দিল সুবাসিত বারি।।
ভোজন সারিয়া প্রভু কৈল আচমন।
সুবর্ণ খড়িকায় কৈল দন্ত শোধন।।
আচমন করিয়া প্রভু বসিলেন সিংহাসনে
কর্পূর তাম্বূল যোগায় প্রিয় ভক্তগণে।।
তাম্বূল খাইয়া প্রভুর পালঙ্কে শয়ন।
গোবিন্দ দাস করে পাদ সম্বাহন।।
ফুলের চৌয়ারি ঘর ফুলের কেওয়ারি।
ফুলের রত্ন সিংহাসন চাঁদোয়া মশারি।।
ফুলের পাপড়ি প্রভুর উড়ে পড়ে গায়।
তার মধ্যে মহাপ্রভু সুখে নিদ্রা যায়।।
স্বেদ বিন্দু ঝরে মহাপ্রভুর গায়।
নরহরি গদাধর চামর ঢূলায়।।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু দাসের অনুদাস।
সেবা অভিলাষ মাগে নরোত্তম দাস।।
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
নিতাই গৌর হরি বোল।।
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
দীন দয়াময় হিতকারী । ।
এস এস মহাপ্রভু করি নিবেদন।
শান্তিপুরে মোর গৃহে কর আগমন।।
প্রভু লয়ে সীতানাথ করিলেন গমন।
মধ্যাহ্ন সময়কালে প্রভুর আগমন।
অদ্বৈত গৃহিণী আর শান্তিপুর নারী।।
উলুধ্বনি দেয় সবে গোরা মুখ হেরি।।
বসিতে আসন দিলা রত্ন সিংহাসন।
সুশীতল জলে কৈলা পাদ প্রক্ষালন।।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু কর অবধান।
ভোগ মন্দিরে প্রভু করহ পায়ান।।
বামেতে অদ্বৈত প্রভু দক্ষিণে নিতাই।
মধ্যাসনে বসিলেন চৈতন্য গোঁসাই।।
শাক শুকতা ভাজি দিয়ে সারি সারি।
ভোগের উপর দিল তুলসী মঞ্জরী।।
গঙ্গাজল তুলসী দিয়া ভোগ কৈল নিবেদন।
আনন্দে ভোজন করেন শ্রীশচীনন্দন।।
দধি দুগ্ধ ঘৃত ছানা নানা উপহার।
আনন্দে ভোজন করেন শচীর কুমার।।
মালপোয়া সর ভাজা আর লুচিপুরী।
আনন্দে ভোজন করেন নদীয়াবিহারী।।
নিতাই রাঙ্গিয়া মোর খাইতে খাইতে।
ভাল ভাল বলি তুলি দেয় গৌরাঙ্গ মুখেতে
না জানিয়ে পরিপাটি না জানি রন্ধন।
শুখা রুখা এক মুষ্টি করহ ভোজন।।
খাইতে খাইতে প্রভুর ভাবাবিষ্ট মন।
রাধাকুণ্ডের ভোজন লীলা হইল স্মরণ।।
ভজ গোবিন্দ মাধব গিরিধারী।
জয় গিরিধারী গোবর্দ্ধনধারী।।
কেলি কলারস মনোহারী।।
রতন মন্দির ঘর রত্নের আসন।
তার মধ্যে বৃন্দাদেবী করিল সাজন।।
রতন থালিতে ভোগ করি সারি সারি।
ফল আদি নানা দ্রব্য কহিতে না পারি।।
অমৃতকেলি ক্ষীর পুরী আর শিখারিণী।
দধি দুগ্ধ ঘৃত ছানা মণ্ডা সর ননী।।
রতন আসন পর বৈঠাল কান।
ভোজন কয়ন আপন মন মান।।
আচমন সারি তলপে মুখবাস।
ভোজন করূ ধনী সখীগণ পাশ।।
যো কছু ভুঞ্জল সখীগণ সাথ।
আচমন কয়ল মুছল পদ হাত।।
শ্যাম বামে ধনী বসিলেন যাই।
প্রিয় নম্র সখিগন তাম্বূল যোগাই।।
রতন পালঙ্ক পরি করিল শয়ন।
নির্ম্নঞ্ছন দিয়া সেবে কুঞ্জদাসীগণ।।
পুষ্পশয্যা পরি দুহঁ শ্রীরাধাগোবিন্দ।
নিকুঞ্জের দ্বারে দেখে যত সখীবৃন্দ।।
জয় জয় শব্দ করে শুক শারী।
নরোত্তম দাস হেরে ও রুপ মাধুরী।।
ভোজনের অবশেষ কহিতে না পারি।
সুবর্ণ ভৃঙ্গারে দিল সুবাসিত বারি।।
ভোজন সারিয়া প্রভু কৈল আচমন।
সুবর্ণ খড়িকায় কৈল দন্ত শোধন।।
আচমন করিয়া প্রভু বসিলেন সিংহাসনে
কর্পূর তাম্বূল যোগায় প্রিয় ভক্তগণে।।
তাম্বূল খাইয়া প্রভুর পালঙ্কে শয়ন।
গোবিন্দ দাস করে পাদ সম্বাহন।।
ফুলের চৌয়ারি ঘর ফুলের কেওয়ারি।
ফুলের রত্ন সিংহাসন চাঁদোয়া মশারি।।
ফুলের পাপড়ি প্রভুর উড়ে পড়ে গায়।
তার মধ্যে মহাপ্রভু সুখে নিদ্রা যায়।।
স্বেদ বিন্দু ঝরে মহাপ্রভুর গায়।
নরহরি গদাধর চামর ঢূলায়।।
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু দাসের অনুদাস।
সেবা অভিলাষ মাগে নরোত্তম দাস।।
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
নিতাই গৌর হরি বোল।।
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
________________________________
ভোগ আরতি
ভজ ভকত-বত্সল শ্রী-গৌরহরি
শ্রী-গৌরহরি সোহি গোষ্ঠ-বিহারী,
নংদ-জশোমতী-চিত্ত-হারী
বেলা হো ‘ লো, দামোদর, আইস এখানো
ভোগ-মংদিরে বোসি’ কোরহো ভোজন
নংদের নিদেশে বৈসে গিরি-বর-ধারী
বলদেব-সহ সখা বৈসে সারি সারি
শুক্তা-শাকাদি ভাজি নালিতা কুষ্মাণ্ড
ডালি ডাল্না দুগ্ধ-তুংবী দধি মোচা-খংড
মুদ্গ-বোডা মাষ-বোডা রোটিকা ঘৃতান্ন
শষ্কুলী পিষ্টক খীর্ পুলি পাযসান্ন
কর্পূর অমৃত-কেলি রংভা খীর-সার
অমৃত রসালা, আম্ল দ্বাদশ প্রকার
লুচি চিনি সর্পূরী লাড্ডু রসাবলী
ভোজন কোরেন কৃষ্ণ হো ‘যো কুতূহলী
রাধিকার পক্ক অন্ন বিবিধ ব্যংজন
পরম আনংদে কৃষ্ণ কোরেন ভোজন
ছলে-বলে লাড্ডু খায্ শ্রী-মধুমংগল
বগল বাজায্ আর দেয হরি-বোলো
রাধিকাদি গুণে হেরি’ নযনের কোণে
তৃপ্ত হো ‘যে খায্ কৃষ্ণ জশোদা-ভবনে
ভোজনাংতে প্রিযে কৃষ্ণ সুবাসিত বারি
সবে মুখ প্রখালোয্ হো ‘যে সারি সারি
হস্ত-মুখ প্রখালিযা জত সখা-গুণে
আনংদে বিশ্রাম কোরে বলদেব-সনে
জম্বুল রসাল আনে তাম্বুল -মসালা
তাহা খেযে কৃষ্ণ-চন্দ্র সুখে নিদ্রা গেলা
বিশালাখ শিখি-পুচ্ছ-চামর ঢুলায
আপূর্ব শয্যায কৃষ্ণ সুখে নিদ্রা জায
জশোমতী-আজ্ঞা পে’যে ধনিষ্ঠা-আনীতো
শ্রীকৃষ্ণ-প্রসাদ রাধা ভুংজে হো’যে প্রীতো
ললিতাদি সুখী-গুণ অবশেষ পায
মনে মনে সুখে রাধা-কৃষ্ণ-গুণ গায
হরি লীলা এক্-মাত্র জাহার প্রমোদ
ভোগারতি গায্ ঠাকুর্ ভকতিবিনোদ
'ভোগ আরতি'
Bhoga-ārati (in Bengali)ভজ ভকত-বত্সল শ্রী-গৌরহরি
শ্রী-গৌরহরি সোহি গোষ্ঠ-বিহারী,
নংদ-জশোমতী-চিত্ত-হারী
বেলা হো ‘ লো, দামোদর, আইস এখানো
ভোগ-মংদিরে বোসি’ কোরহো ভোজন
নংদের নিদেশে বৈসে গিরি-বর-ধারী
বলদেব-সহ সখা বৈসে সারি সারি
শুক্তা-শাকাদি ভাজি নালিতা কুষ্মাণ্ড
ডালি ডাল্না দুগ্ধ-তুংবী দধি মোচা-খংড
মুদ্গ-বোডা মাষ-বোডা রোটিকা ঘৃতান্ন
শষ্কুলী পিষ্টক খীর্ পুলি পাযসান্ন
কর্পূর অমৃত-কেলি রংভা খীর-সার
অমৃত রসালা, আম্ল দ্বাদশ প্রকার
লুচি চিনি সর্পূরী লাড্ডু রসাবলী
ভোজন কোরেন কৃষ্ণ হো ‘যো কুতূহলী
রাধিকার পক্ক অন্ন বিবিধ ব্যংজন
পরম আনংদে কৃষ্ণ কোরেন ভোজন
ছলে-বলে লাড্ডু খায্ শ্রী-মধুমংগল
বগল বাজায্ আর দেয হরি-বোলো
রাধিকাদি গুণে হেরি’ নযনের কোণে
তৃপ্ত হো ‘যে খায্ কৃষ্ণ জশোদা-ভবনে
ভোজনাংতে প্রিযে কৃষ্ণ সুবাসিত বারি
সবে মুখ প্রখালোয্ হো ‘যে সারি সারি
হস্ত-মুখ প্রখালিযা জত সখা-গুণে
আনংদে বিশ্রাম কোরে বলদেব-সনে
জম্বুল রসাল আনে তাম্বুল -মসালা
তাহা খেযে কৃষ্ণ-চন্দ্র সুখে নিদ্রা গেলা
বিশালাখ শিখি-পুচ্ছ-চামর ঢুলায
আপূর্ব শয্যায কৃষ্ণ সুখে নিদ্রা জায
জশোমতী-আজ্ঞা পে’যে ধনিষ্ঠা-আনীতো
শ্রীকৃষ্ণ-প্রসাদ রাধা ভুংজে হো’যে প্রীতো
ললিতাদি সুখী-গুণ অবশেষ পায
মনে মনে সুখে রাধা-কৃষ্ণ-গুণ গায
হরি লীলা এক্-মাত্র জাহার প্রমোদ
ভোগারতি গায্ ঠাকুর্ ভকতিবিনোদ
________________________________
মধ্যহ্ন ভোগ আরতি গান
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে (ওঁ) হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।মধ্যহ্ন ভোগ আরতি গান।
জয় জয় শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ নিত্যানন্দ
জয় জয় অদ্বৈত্য চন্দ্র জয় গৌর ভক্ত বৃন্দ।
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ কর অবদান
ভোজন মন্দিরে প্রভূ করহ পয়ান।
বসিতে আসন দিল রত্ন সিংহাসন
সুবাসিত জলে কৈলেন পদ প্রক্ষালন।
বামেতে অদ্বৈত্য চন্দ্র দক্ষিণে নিতাই হে
মধ্য আসনে বসেন শ্রী চৈতন্য গোসাই।
ভোজনের যত দ্রব্য কহিতে না পারি
তাহার উপরে দিল তুলসি মঞ্জুরী।
শাক শুকতা অন্ন আদি বিবিধ ব্যঞ্জণ
আনন্দে ভোজন করে শৌচির নন্দন।
দধি দুগ্ধ মধু ক্ষীর নানা উপহার
আনন্দেতে ভোজন করে শৌচির কুমার।
অমৃত রসাল রাম্ভা আরও লুচি পুরী
ভৃঞ্জার ভরিয়া সুবাসিত কারি।
জল পান করি প্রভূ করেন আচমন
সুর্বন খরিকা দিয়া দমত্ম ধাবন।
আচমন করি প্রভূ বসেন সিংহাসনে
প্রিয় ভক্তগনেণ করেন তাম্বুল সেবনে।
তাম্বুল সেবার পর নিভূতে শয়ন
গৌবিন্দ দাসে করেন চরণ সেবন।
ফুলের কেওয়ারি আরও ফুলের চোয়ারি
ফুলে রত্ন সিংহাসন চাঁদোয়া মশারি।
ফুলের বিছানা আর ফুলের বালিশ
তাহার মধ্য মহাপ্রভূ করেন আলিশ।
ফুলের পরাগ সব উড়ে গায়
ঘন সাধে গৌরি দাসে চামর দোলায়।
তিন প্রভূর ভোজনের অবশেষ তার নাহি অমত্ম
আনন্দে ভোজন করেন চৌষট্টি মহমত্ম।
মহমত্মগণের ভোজনের অবশেষ ভক্তে করে সাধ
কৃপা করি দাও হে মহা প্রভূর প্রসাদ।
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভূ দাসের আনুদাস
সেবায় অভিলাস মাগে নরোত্তম দাস।
________________________________
🌾🌾🌾🌾🌾🌾🌾
________________________________
নিতাই গৌর হরি বল, নিতাই গৌর হরি বল, নিতাই গৌর হরি বল।
নিতাই অদ্বৈত বল, নিতাই অদ্বৈত বল, নিতাই অদ্বৈত বল
জয় রাধে মাধব, জয় রাধে মাধব, জয় রাধে মাধব হরে।
জয় রাধে মাধব হরে........ জয় রাধে মাধব হরে।
হরে মুরারে মধু কৈটভ ভারে.........
গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরে......
👉 জয় জয় তুলসী বৃন্দাজী প্রীতে হরি হরি বল...
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉 জয় জয় রাধাকৃষ্ণ প্রেমানন্দে হরি হরি বল....
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉 জয় জয় শ্রীমদ্ভাগবত প্রীতে হরি হরি বল......
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉জয় জয় সাধু গুরু বৈষ্ণব প্রেমানন্দে হরি হরি বল
হরি হরি বল.... বোলহরি।
মধুর প্রেম ধ্বনি, গৌর, শ্রীরাধে, শ্রীকৃষ্ণ, বলি হে প্রভু নিতাই শ্রীচৈতন্য রাধা রানী কি জয়।
রাধাকৃষ্ণ কি?.................জয়।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কি?.... জয়।
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা কি?.....জয়।
খোল করতাল কি?..........জয়।
মা দূর্গা কি?................... জয়।
ভক্তবৃন্দ কি?..................জয়।
গৃহস্থ মহারাজ কি?......... জয়।
নিতাই অদ্বৈত বল, নিতাই অদ্বৈত বল, নিতাই অদ্বৈত বল
জয় রাধে মাধব, জয় রাধে মাধব, জয় রাধে মাধব হরে।
জয় রাধে মাধব হরে........ জয় রাধে মাধব হরে।
হরে মুরারে মধু কৈটভ ভারে.........
গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরে......
👉 জয় জয় তুলসী বৃন্দাজী প্রীতে হরি হরি বল...
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉 জয় জয় রাধাকৃষ্ণ প্রেমানন্দে হরি হরি বল....
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉 জয় জয় শ্রীমদ্ভাগবত প্রীতে হরি হরি বল......
হরি হরি বল...বোলহরি।
👉জয় জয় সাধু গুরু বৈষ্ণব প্রেমানন্দে হরি হরি বল
হরি হরি বল.... বোলহরি।
মধুর প্রেম ধ্বনি, গৌর, শ্রীরাধে, শ্রীকৃষ্ণ, বলি হে প্রভু নিতাই শ্রীচৈতন্য রাধা রানী কি জয়।
রাধাকৃষ্ণ কি?.................জয়।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কি?.... জয়।
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা কি?.....জয়।
খোল করতাল কি?..........জয়।
মা দূর্গা কি?................... জয়।
ভক্তবৃন্দ কি?..................জয়।
গৃহস্থ মহারাজ কি?......... জয়।
___________________________________________________________________________
Pijush Nag. 01811181318
_______________
______
_
right
উত্তরমুছুনঅসাধারণ হয়েছে। দাদা আরো কীর্তণ এর সফট কপি দিলে খুশি হব। এগিয়ে যান।
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ ।
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা ।আরো কীর্তন সংযুক্ত হবে আশা করি।
উত্তরমুছুনআরো গান এড করার অনুরোধ রইল
উত্তরমুছুন